ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আধিপত্যের বিরোধে গুলিবিদ্ধ ৩

আপডেট: ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি


পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিবাদমান দুই গ্রুপে ফের আধিপত্য নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে পথচারী ও বিএনপির দুই কর্মীসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল কাঁঠালতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব গ্রুপের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

ইতেপূর্বে সরকারি খাস পুকুর থেকে মাছ ধরা নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর বিএনপির বিবাদমান এই দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এ ঘটনার জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় পাকশী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থানরতদের হাবিব গ্রুপের লোকজনদের ওপর মেহেদী গ্রুপের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল কলপাড়া গ্রামের জফু বিশ্বাসের ছেলে সেলিম বিশ্বাস (৪৫), মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আইনুল (৫৮) এবং একই এলাকার পথচারী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাছিম (২৭)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের পারিবারিক সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে বসে ছিলেন সেলিম, আইনুলসহ অন্যান্যরা। এ সময় প্রতিপক্ষের গ্রুপের কয়েকজন এসে শর্টগান ও পিস্তল নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। স্থানীয়রা জানান এসময় অন্তত: ২৫ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষন হয়। গুলিতে আইনুল ইসলামের বাম হাঁটুর নিচে, বাম হাতের কব্জি এবং উরুতে আঘাত লাগে। সেলিম বিশ্বাসের ডান উরুর মাংসপেশি, পায়ের তালু এবং কনুইতে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন।

পথচারী নাছিমও গুলিতে আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেলিম ও আইনুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথচারী নাছিম ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনা সম্পর্কে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমি এখন ঢাকায় অবস্থান করছি।

এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। কারা কেন কাকে গুলি করেছে তা আমার জানা নেই। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনার সময় আমি দলীয় প্রোগ্রামে ব্যস্ত ছিলাম, গুলিবর্ষনের ঘটনা নিয়ে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ