শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের কর্মস্থল উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে ‘বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবো’-এমন ঘোষণা দিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন এক তরুণী।
উপজেলা পরিষদের সমাজ সেবা কার্যালয়ে এসময় প্রচুর লোকজন জড়ো হলে এক পর্যায়ে ওই তরুনীকে তার প্রেমিক আব্দুল মালেকের ভাবী ও অন্যান্য স্বজনরা মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি সেখানে অবস্থান নিয়ে তার দাবিতে অনড় থাকেন। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে নিজ কর্মস্থল থেকে ভৌঁ দৌড়ে পালিয়ে যান প্রেমিক আব্দুল মালেক।
প্রেমিক মালেক উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ঈশ্বরদী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন ওই তরুণী।
ওই তরুণী অভিযোগ করেন, প্রেমিক মালেক ও তিনি সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই বোন। পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাসে তারা গত ৫ বছরে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টে সময় কাটিয়েছেন। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। ঘটনাটি উভয় পরিবারের মধ্যে এবং এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানিও হয়।
এক পর্যায়ে প্রেমিক মালেকের পরিবারকে বিয়ের কথা জানান ওই তরুণী। তখন তারা ৬ মাস সময় নেন। ৬ মাস পরও বিয়ের কোনো অগ্রগতি না দেখে কয়েকদিন আগে তিনি মালেকের বাড়িতে যান। তখন আব্দুল মালেক তাকে কিছুদিনের মধ্যে ‘পালকিতে করে বিয়ে করবে’ বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু সম্প্রতি মালেক তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।
সবশেষ বুধবার বিকেলে তিনি বিয়ের দাবিতে মালেকের কর্মস্থল ঈশ্বরদী উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে মালেক ও তার পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে লাঞ্ছিত করে মালেককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মালেক প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন কিন্তু এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।