বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি
ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি থেকে মাথার খুলিসহ মানবদেহের ৬১টি হাড় উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুলাডুলির গোয়ালবাথান পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদের বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
পাবনা র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাড়গুলি উদ্ধারের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে তা ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই তালুকদারের কাছে দেয়া হয়েছে। র্যাব সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট মুলাডুলির ওই গ্রামের আজিবর রহমান (৪২) নিখোঁজ হন। আজিবরের ছেলে শান্ত ও পরিবারের দাবি, এগুলো নিখোঁজ আজিবরের হাড়। পাবনা র্যাব ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, চার বছর চার মাস আট দিন আগে মুলাডুলি গোয়ালবাথান গ্রামের আজিবর রহমান নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় আজিবরের ভাই ওসমান প্রামাণিক বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি খুন ও গুমের মামলা করেন। মামলায় আজিবরের দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া খাতুন, গোয়ালবাথান গ্রামের মৃত আরফান আলীর ছেলে আবদুস সামাদ ও নূর হোসেনের ছেলে আবু হানিফকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্তের পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ আদালতে নারাজি আবেদন করায় মামলাটি পুনরায় তদন্তের ভার দেয়া হয় সিআইডিকে। পরবর্তী সময়ে তিনজনকে মামলায় আসামি করে সিআইডি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বর্তমানে মামলাটি পাবনা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আজিবরের ভাতিজা আবদুল কুদ্দুস দাবি করে বলেন, উদ্ধার করা মাথার খুলি ও হাড়গোড় তার চাচা আজিবরের। পরকীয়ার কারণে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার চাচার লাশ গুম করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই তালুকদার বলেন, নিখোঁজ আজিবরের পরিবারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না এগুলো আজিবরের হাড়গোড় কি না। ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।