শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের শ্রমিক সিরাজ ফকিরকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শাজাহান আলী (২৯) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃত সিরাজ ফকিরের লাশ উদ্ধারের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বরইচরা তেতুলতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২৪ আগষ্ট রূপপুর প্রকল্প থেকে বাড়ি ফেরার সময় সিরাজ ফকির নিখোঁজ হন। ২৬ আগষ্ট থানায় জিডি করার পর তার ছেলে আল-আমিন হোসেনের মোবাইলে কল করে বাবার মুক্তিপনের জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেন শাজাহান আলী।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শহরের রহিমপুর এলাকার জনৈক শরিফুল ইসলাম বুলবুলের বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাটের বাথরুমে হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কচটেপ লাগানো অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া ছিলেন শাহজাহান আলী।
বাড়ির মালিক শরিফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, গত ২২ আগষ্ট সস্ত্রীক শাজাহান আলী আমার বাড়ির ৪তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন, ২৭ আগষ্ট থেকে ওই ফ্ল্যাট বাইরে থেকে তালা মেরে বন্ধ করা ছিল। দুদিন ধরে ওই ফ্ল্যাট থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হওয়ায় সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দিলে তালা ভেঙে ঘর তল্লাশি করার সময় বাথরুম থেকে হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত অবস্থায় সিরাজ ফকিরের লাশ পাওয়া যায়। নিহত সিরাজ ফকির উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামের মৃত জলিল ফকিরের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে না পেয়ে শাজাহান আলী পরিকল্পিত ভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। লাশ উদ্ধারের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা এ হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী শাজাহানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।