ঈশ্বরদীতে শরিফা চাষে বাদশার সফলতায় আগ্রহী হচ্ছেন অন্যরাও

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

সেলিম সরদার, ঈশ্বরদী  



এখন থেকে দুই দশক আগেও বাড়ির পাশে, জঙ্গলে, কিংবা রাস্তার ধারে ছোট ছোট গাছে দেখা যেত সুমিষ্ট ফল ফল শরিফা। সেগুলো বিনা আবাদেই বেড়ে উঠতো। কালের পরিক্রমায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকম ফলের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে ফলটি। তবে বিলুপ্তপ্রায় এই শরিফা ফলের চাষ শুরু হয়েছে ঈশ্বরদীতে। ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী বাদশা শরিফা ফল চাষে পেয়েছেন সফলতা। ৩২ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন এই ফল। আর এই বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ১০ জন শ্রমিকের।
কৃষক শাহজাহান আলী বাদশা বলেন, চারা রোপনের পাঁচ বছরের মধ্যে ফল ধরে শরিফা গাছে। একটি গাছ থেকে বছরে ফল পাওয়া যায় ৫শ’ এর বেশি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হয় এই ফল।
কৃষক শাহজাহান আলী বাদশা আরো বলেন, অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় তিনি শরিফা ফলের চাষ শুরু করে অল্প দিনের মধ্যে বেশ লাভবান হয়েছেন। তার দেখাদেখি অন্যরা এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন জনি বলেন, বেকার যুবকসহ অন্যরা শরিফা চাষে এগিয়ে এলে প্রাণ ফিরে পাবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই ফল।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার রওশন জামাল বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিজাত মহলে বেশ কদর রয়েছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শরিফা ফলের। খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরাও এ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। শুধু ঈশ্বরদী নয়, ফরমালিনমুক্ত এই শরিফা ফলের চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া গেলে কৃষকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী এই দেশিয় ফলটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন সফল শরিফা চাষী শাজাহান আলী বাদশা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ