উচ্চমূল্যের সার-কিটনাশক বোরো চাষে বাড়ছে ব্যয়

আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে সারের সংকট না থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চাষীদের থেকে বেশি মূল্য আদায় করা হচ্ছে। নানা অজুহাতে দাম বেশি নেয়া হচ্ছে কিটনাশকেরও। এতে বোরো চাষে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, সার কিনতে গেলে বলা হয়, সার নাই কিন্তু দাম বেশি দিলে তখন আবার সার দেওয়া হয়। এছাড়া বাংলা টিএসপি ও ডিএপি সার বাজারে পাওয়া যায় না বলেও জানান তারা।

রাজশাহীর বিএডিসি ও বিসিআইসি সার গুদাম সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসি ও বিসিআইসি ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া ও টিএসপি সার ১২৫০ টাকা, ডিএপি ৯৫০ টাকা ও পটাশ ৯০০ টাকা করে বিক্রি করে। ডিলাররা বস্তা প্রতি ১০০ টাকা লাভ করে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ইউরিয়া ও টিএসপি ১৩৫০ টাকা, ডিএপি ১০৫০ টাকা ও পটাশ ১০০০ টাকা বিক্রি করার জন্য সরকার মূল্য বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিলাররা তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছেন। ডিলারদের কাছ থেকে সাব ডিলাররা বস্তা প্রতি সার ক্রয় করছেন টিএসপি ১৬০০ থেকে ১৬২০ টাকা, ডিএপি ১২৩০ থেকে ১২৪০ টাকা ও পটাশ ১১৬০ টাকা ক্রয় করছেন। শুধু ইউরিয়া সার নির্ধারিত মূল্যে ডিলারদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনতে পারছেন। তারা খুচরা পর্যায়ে ইউরিয়া সার ২৮ টাকা কেজি বিক্রি করছেন যাতে ৫০ কেজি বস্তার মূল্য দাঁড়ায় ১৪০০ টাকা, টিএসপি ৩৪ টাকা কেজি, ডিএপি ৩০ থেকে ৩২ টাকা এবং পটাশ ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

রাজশাহীর পবার খোলাবোনা বাজারের এক সাব ডিলার বলেন, আমাদের ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। আমরা যদি কেজিতে দুই তিন টাকা লাভ না করলে আমাদের খরচ উঠবে কিভাবে?
পবার সারেংপুর মাদ্রাসা মোড় এলাকার সারের খুচরা বিক্রেতা তছলিম উদ্দীন বলেন, কৃষকরা প্রয়োজনমতো সার পাচ্ছে না। অন্যান্য সার পেলেও বাংলা টিএসপি ও ডিএপি সারের ঘাটতি রয়েছে।
দুর্গাপুরের কৃষক রাশেদুল্লাহ বলেন, সার কিনতে গেলে বলা হয়, সার নাই। কিন্তু দাম বেশি দিলে তখন সার দেয়। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রাখা হয়েছে।

চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান বলেন, চারঘাট উপজেলায় চাহিদা মোতাবেক সার পাওয়া যায়। কোনো সংকট নাই। তবে বিএডিসির সার পেতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এই মাসের সার ডিলার ১৪/১৫ তারিখের দিকে পেয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, রাজশাহীতে কিছুদিন কিছুটা সারের সংকট দেখা দিয়েছিলো। এখন কোনো সারের সংকট নাই। তারপরও আমরা মনিটরিং করছি।