রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
বোয়িং ৭৩৭, গত সপ্তাহে রোম থেকে জার্মানির উদ্দেশ্যে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল এই বিমানের। একেবারে প্রস্তুত সবকিছু। কিন্তু উড়ানের ঠিক আগে বিমান কর্মীরা শুনতে পেলেন ‘ম্যাও’। কী হল ব্যাপার! তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখলেন বিমানের ভিতর বসে মার্জার। শুধু কিছুক্ষণ বসে ছিল, তেমনটা নয়। বিড়ালের চক্করে দু’ দিন পর্যন্ত বিমান উড়তেই পারল না।
ওই বিমানের রোম থেকে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। গন্তব্য ছিল জার্মানি। বিড়ালের আওয়াজ পেয়েই শুরু হয় তল্লাশি। কোথা থেকে আসছে শব্দ? আসন, অন্যান্য সব জায়গায় খুঁজেও যখন দেখা মেলে না, আচমকা বৈদ্যুতিন বিভাগের এক অংশে দেখা মেলে তার।
তারপর থেকেই শুরু হয় উদ্ধার কার্য। এক পর্যায়ে বিমানের মধ্যে ইঁদুর-বিড়াল খেলাও শুরু হয়। কিন্তু কোনওভাবেই মার্জারকে বাইরে আনা সম্ভব হয়নি। উল্টে সে বিমানের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে থাকে। এক সময়ে কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়, যে বিড়াল বিমানের কোনও অংশে আটকে গেলে, মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। নিরাপত্তার খাতিরে বিমানের উড়ান বাতিল হয়।
স্বস্তি মেলে ঠিক দু’ দিন পর। বিমানের এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানোর পর, বুঝি বা সাধ মিটে যায় তার। দুলকি চালে বেরিয়ে যায় বিমান থেকে। ভাবখানা এমন, যেন ঘটেনি কিছুই।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, অনেকেই মনে করছেন বিড়ালের জন্য বিমানের দু’ দিন অপেক্ষা করে থাকার কোনও মানে ছিল না। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ৩০ হাজার ফুট উঁচুতে বড় সমস্যায় ফেলতে পারত বিড়াল। তাতে বড় ক্ষতির আশঙ্কাও ছিল।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন