বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৬ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সেরু এবং সুগুনু এলাকায় অনেক বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত
সোনার দেশ ডেস্ক :
ভারতের মণিপুরে রবিবার নতুন সহিংসতা শুরু হওয়ার পর এক পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। রাজ্যটিতে জাতিগত সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৮০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
অত্যাধুনিক অস্ত্র বহনকারী কথিত সন্ত্রাসীরা সেরু এবং সুগুনু এলাকায় অনেক বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতা-বিধ্বস্ত রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের কয়েক ঘণ্টা আগে নতুন সংঘর্ষ ঘটে।
তফসিলি আদিবাসীর মর্যাদা নিয়ে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে স্থানীয় জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর বিক্ষোভের জেরে গত মাসে গোটা রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং রবিবার বলেছেন, গত কয়েক দিনে ‘৪০ সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এম-১৬ এবং একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং স্নাইপার বন্দুক ব্যবহার করছে। তারা অনেক গ্রামে এসে বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে খুব শক্ত পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি। আমরা অন্তত ৪০ সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করার খবর পেয়েছি’।
সোমবার (২৯ মে) মণিপুর সফরে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মেইটিস এবং কুকি উভয়কেই শান্ত ও শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে অমিত শাহ রাজ্যে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করতে মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবার মণিপুরে যান সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডেও।
সহিংসতার আরও বৃদ্ধি এড়াতে সরকার বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ এবং ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন