উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত বাড়লো দশ গুণ

আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ

উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত বাড়লো দশ গুণ
সোনার দেশ ডেস্ক:


নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৪ জারি করা হয়েছে। নতুন বিধিমালায় জামানতের অংক বাড়ানোসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হবে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতার জন্য জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আগে উভয়পদে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নতুন বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিধিমালায় ‘নির্বাচনি সময়েরও’ সংশোধনি আনা হয়েছে। সংশোধিত নির্বাচনি সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে গেজেট প্রকাশের পর ১৫ দিন করা হয়েছে। সে সঙ্গে এতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক জমা দিতে হবে এবং উল্লেখ করতে হবে টিআইএন নম্বর।
আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগের কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। এক্ষেত্রে প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালায় এটি ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

সংশোধিত বিধিমালায় নির্বাচনি ব্যয়ের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। পূর্বের আইনে ১ লাখ ভোটারের জন্য প্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনি ব্যয় করতে পারেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১ লাখ এক থেকে ২ লাখ ভোটারের জন্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ২ লাখের বেশি ভোটার সংবলিত উপজেলার জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

নতুন বিধিমালায় চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং ‘মহিলা সদস্য’ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। আগে ভোটগ্রহণের ৩ সপ্তাহ আগে থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারতেন। এবার তা সংশোধন করে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে প্রচারণা শুরুর কথা বলা হয়েছে। প্রচার-প্রচারণার আওতায় এবার ডিজিটাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সন্নিবেশ করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধানও শিথিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এতোদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো। এটি এখন একেবারেই তুলে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভোটারদের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর লাগবে না।

নতুন বিধিমালায় প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী মে মাসে ৪ ধাপে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। ১ম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে হবে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ