দুর্গাপুর প্রতিনিধি:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে দেশজুড়ে। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের তৎপরতা বেড়েছে। ভোটাররা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনে দক্ষ নেতৃত্ব খুঁজে নিবেন তারা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকে দুর্গাপুর উপজেলায় বেশকিছু মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম পাওয়া গেছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়াম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরদার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফিরোজ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজার আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ,
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিঠু, নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম, ইস্তাজুল ইসলাম( বাপ্পী),মহিলা ভাইস চেয়াম্যান বানেছা বেগম। ইতিমধ্যে তারা নির্বাচনী মাঠ প্রস্তুতে নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন।
এদিকে, জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তারা বলছেন, দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের থেকে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা আসে নি। তবে তৃণমূল বিএনপির অনেকেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুল মজিদ সরদার ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনবারের উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বানেছা বেগম। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে তার সুনাম রয়েছে।
রিয়াজুল ইসলাম রেন্টু পরপর দুই মেয়াদ উপজেলা দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানেরর দায়িত্ব পালন করছেন। নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। তিনিও এবার উপজেলা পরিষদের প্রত্যাশী।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে আলোচনায় রয়েছেন পুরনো প্রার্থীর পাশাপাশি কিছু নতুন মুখ। সব মিলিয়ে আরেকটি নির্বাচনী লড়াইয়ের জোর প্রস্তুতি চলছে।