মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে বহু দূরে থমকে গিয়েছিল বিজেপির বিজয়রথের চাকা। বিয়াল্লিশে মাত্র ১২ পেয়ে তাদের ‘হাতে রইল পেনসিল’! রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও গেরুয়া শিবির ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
চারের মধ্যে তাদের প্রাপ্তি পুরোপুরি শূন্য। এমনকী জেতা আসনও তাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীরা। মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ – চার কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়জয়কার। শনিবার এই ফলাফল প্রকাশের পরই অবশ্য সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের সাংগঠনিক ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে শমীক ভট্টাচার্যর স্পষ্ট বক্তব্য, ”এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করার মতো সংগঠন বিজেপির নেই। এটা অস্বীকার করতে আমাদের লজ্জা নেই। আমরা পারিনি সে ধরনের সংগঠন তৈরি করতে – এটা আমাদের ব্যর্থতা।” তবে তিনি ভোট লুট নিয়ে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে ছাড়লেন না। বাগদা ও রানাঘাট দক্ষিণে মানুষকে জোর করে, ভয় দেখিয়ে শাসকের পক্ষে ভোট দেওয়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
চার আসনের মধ্যে একমাত্র মানিকতলা ছাড়া বাকি তিনটিই ছিল বিজেপির দখলে। সেসব আসন থেকে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে পদ্মফুল। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা- সর্বত্র সবুজঝড়। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এখানকার ফলাফল মাত্র তিন বছরে এতটা বদলে গেল কেন? কেন জেতা আসনেও হার সহ্য করতে হল বিজেপিকে?
তার অন্যতম কারণ যে প্রার্থী বাছাই, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। একমাত্র মানিকতলায় কল্যাণ চৌবে ছাড়া তিন আসনের বিজেপি প্রার্থীরা বিশেষ পরিচিত নয়। বাগদার প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাসকে নিয়ে দলের অন্দরেই অসন্তোষ ছিল। অন্যদিকে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী বা রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারীরা জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন নিজেদের ক্যারিশ্মায়।
বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণের হার নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যর বক্তব্য, ”আজকের সময় ভোটের সংগঠন বলতে যেটা বোঝায় সেটা আমরা তৈরি করতে পারিনি। বোমা-পিস্তলের পালটা তো বোমা, লাঠিতে হয় না। তবে এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যে ধরনের সংগঠন দরকার সেটা আমরা তৈরি করতে পারিনি। যেভাবে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ভোট হয়েছে বা ভোট হয় বাংলায়, সেটা বুঝতে হবে। এধরনের ফল দলগতভাবে আমাদের প্রত্যাশিত ছিল।” কেন এই দুই জায়গায় ব্যবধান এত কমল, তা দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান শমীক। সুকান্ত-শুভেন্দুরা কী বলবেন?
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন