রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
আলহাজ্ব মো. হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী হিফ্জু
বর্তমান রাজশাহীস্থ উপশহরের লোকসংখ্যা সেই পাকিস্তান আমলের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল জেনারেল আয়ুব খান যুগের নির্মিত ‘স্যাটেলাইট টাউন’ মত আর নেই। যুগের পরিবর্তনের তাগিদে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেখানে একটি মাত্র সেক্টর “রিফিউজি লোকদের জন্য ২রুম বিশিষ্ট ১ (এক) তলা ঘন বসতি ছিল। বর্তমানে এটাা সম্প্রসারিত হয়ে ৩টি সেক্টরে বিস্তার লাভ করছে। এখানে আনুমানিক ১৫/১৬ হাজার লোকের বসবাস। আর অ্যালুটির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়Ñ প্রায় ২৫০০ এরও বেশি। ফলে এর জনসংখ্যা আর ৭/৮ তলা বিশিষ্টি দালান কোঠা, স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা ইত্যাদি বেড়েই চলছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়।
অথচ এখানে ছেলে-বুড়–দের ”িত্ত বিনোদনের জন্য কোনরূপ ব্যবস্থা আদৌ নেই। যে দু’তিনটি খেলার মাঠ বর্তমানে ছিল সেগুলিও বিলুপ্ত প্রায়। বেদখল তবে, কিছু কিছু রাস্তাঘাট বড় করার ব্যবস্থা হয়েছে সত্যি কিন্তু গ্রেটার রোডে দ্রুত গিয়ে উঠার মত কোনরূপ লিংক রোড মূলতঃ নাই। তাই, বর্তমানে এর বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে।
এক সময়ে এখানে জননিরাপত্তার জন্য কোনরূপ পুলিশ ফাঁড়িও ছিল না। অনেক লেখালেখির পর সেই পুলিশ ফাঁড়িও স্থাপিত হল, বেশ ভাল লক্ষণ। কিন্তু মূলতঃ আবাসিক এলাকাতে জনগণের সুবিধার জন্য যে নাগরিক সুযোগ সুবিধাগুলি থাকার দরকার সেগুলি খুবই কম। যেমন-শিশুপাকর্, লেক, কমিউনিটি সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সেন্টার আর অগ্নিকা- প্রতিরোধের জন্য কোন সহায়ক পুকুর বা জলাশয় ইত্যাদি নাই। ফলে, প্রয়োজনের তাগিদে শহরের মধ্যে গিয়ে ওই সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে হয়। এতে করে সময় আর অর্থেরও অপচয় ঘটে। তাছাড়া এখানে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার অনেক পরে অবশেষে প্রতিকারের সুযোগ আসে।
বর্তমানে অত্র এলাকাসহ সপুরা জিন্নাহনগর আসাম কলোনি, কয়েরদাড়া, মালদহ কলোনি, রাজশাহী আর্মি ক্যান্টনমেন্ট, বিসিক শিল্পনগরীর যাবতীয় পণ্য সামগ্রী আর সমস্ত যানবাহন এবং সাধারণ জনসাধারণ স্কুল, কলেজ মাদ্রার ছাত্র/ছাত্রী, সিটিকর্পোরেশন, ষষ্টিতলা, নিউমার্কেট আর সাহেববাজারে যাওয়া আসার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গতিশীল রাস্তাই হল সেই দঁড়িখরবোনার দঁড়ির ন্যায় চিকন/সরু রাস্তা খানি। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন রাতদিন অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় হাজার হাজার লোকজন আর যানবাহন ইত্যাদি চলাচল করে থাকে। ফলে কোন এক মুহূর্তের জন্য হলেও এটা ফাঁকা থাকে না। এমনকী এখানে মাঝে মধ্যে কমবেশি দুর্ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে। বহু লেখালেখির পর দঁড়িখরবোনাও গ্রেটার রাডের মোড়ে একটি ট্রাফিক ভিট তৈরি হয়েছে। কিন্তু ওই ভিট থেকে উপশহর মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির উত্তর-দক্ষিণের দু’মাথাই বর্তমানে বড় করা হয়েছে। অথচ মধ্যখানের অংশটুকু একেবারেই সরু! সেই দুইমাথাওয়ালা শংক সাপের ন্যায়। যাতে অচেনা বড়বড় যানবাহন চালকগণ শর্ট কাট ট্রিপ মারার জন্য এ রাস্তায় মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে দু’পাশ থেকে মাঝ পথে এসে এমনভাবেই আটকে পড়ে থাকে যে, না পারে পিছনে ফিরে যেতে, না পারে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। এ যেন শাঁখের করাত! অর্থাৎ এখানে কঠিন সঙ্কটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া জনগণের ভীড়ও লেগেই থাকে সব সময়ে।
এমনি পরিস্থিতিতে অত্র এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অসুবিধা দূরীকরণের লক্ষ্যে নিদেনপক্ষে বর্তমান রাজশাহীস্থ ক্যান্টমেন্টের ২নং গেট থেকে সোজাসুজি দক্ষিণ দিকে উপশহর নিউমার্কেটের দিকে চলে আসা রাস্তাটিকে বর্তমানে প্রয়োজনের তাগিদে সম্প্রসারিত করে গ্রেটাররোডের সাথে লিংক রোড হিসেবে সড়ক যোগাযোগের জন্য আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ এবং মাননীয় সদাশয় মেয়র মহোদয়ের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।