বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
উৎক্ষেপণের পর পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধ্বংস হয়ে গেল এলন মাস্কের স্পেস স্টারশিপ। লাইভ স্ট্রিমিং চলাকালীন দেখা যায় উৎক্ষেপণ হতে না হতেই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় মহাকাশযানের। ওই অবস্থায় বাহামাসের উপর বিস্ফোরণে টুকরো টুকরো হয়ে যায় মহাকাশযানটি। ফলে মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে আবারও ব্যর্থ হল মাস্কের স্টারশিপ।
জানা গিয়েছে, এটি ছিল স্পেসএক্সের অষ্টম উৎক্ষেপণ। গতবারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ভালভাবেই সারা হয়েছিল প্রস্তুতিপর্ব। পুরো উৎক্ষেপণের লাইভ স্ট্রিমিং দেখছিল বিশ্ব। ৪০৩ ফুট দৈর্ঘের রকেট টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় সূর্যাস্তের কিছু আগে। মাটি ছেড়ে শূন্যে ওঠার পর প্রথম পর্যায়ে বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে লঞ্চপ্যাডে ফিরে আসে। সেটিকে সফলভাবে ধরেও নেয় ‘মেকানিক্যাল আর্ম’।
মহাকাশে স্যাটেলাইট ছেড়ে আবারও ফিরে আসার কথা ছিল রকেটটির। তবে সে সবের আগেই মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধ্বংস হয়ে যায় স্পেস এক্স। জানা যাচ্ছে, মাটি থেকে ১৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় মহাকাশে পৌঁছনোর পর ঘটে এই দুর্ঘটনা। সেই ধ্বংসাবশেষ নিচে পড়ার ছবি ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
তবে রকেটের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হলেও তৃতীয়বারের মতো ‘বুস্টার ক্যাচ’ সম্পন্ন করে স্পেস এক্স। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রথমবার এই সাফল্য পেয়েছিল এমন মাস্কের সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী, উৎক্ষেপণের পর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেই রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বুস্টার।
এতদিন এই বুস্টার সমুদ্রে অবতরণ করানো হত। অভাবনীয় ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতায় স্পেসএক্স বুস্টার ক্যাচের প্রযুক্তি আবিষ্কার করে। লঞ্চের সময় যেই হাতলে রকেটটাকে ধরে রাখা হয়, সেই হাতলই নীচে নামতে থাকা বুস্টারকে নিখুঁত ভাবে ক্যাচ করে। স্পেসএক্সের এই প্রযুক্তি আসার পরই লঞ্চপ্যাডেই বুস্টার ধরা হচ্ছে অক্ষত ভাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে টেক্সাসের বোকা চিকা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সপ্তম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে স্টারশিপ রকেট শূন্যে পাঠিয়েছিল স্পেসএক্স। সেই রকেট লঞ্চ করার পর ব্যবহৃত বুস্টারটি ফের লঞ্চপ্যাডে ফিরে আসে। তবে সেবারও মহাকাশের দিকে ছুটে যাওয়া রকেটটি ধ্বংস হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন