বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
দেশভাগের যন্ত্রণা তাঁর মনকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিল। এই ক্ষতকে সম্বল করেই একের পর এক সিনেমা তৈরি করে গিয়েছেন ঋত্বিক ঘটক। কত বড় পরিচালক ছিলেন তিনি, তা এতদিনে অনুভব করলেন দীপ্তি নাভাল। এই প্রথমবার ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। আর তাতেই হয়ে গেলেন মন্ত্রমুগ্ধ।
ঋত্বিক ঘটকের ‘পার্টিশন ট্রিলোজি’র প্রথম ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’। শক্তিপদ রাজগুরুর গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য সাজিয়েছিলেন পরিচালক। নীতার চরিত্রে সুপ্রিয়া দেবী, শংকরের ভূমিকায় অনিল চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় আজও দর্শকদের সমৃদ্ধ করে। ‘দাদা আমি বাঁচতে চাই’-এর কাতর আকুতি মনকে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়, বিজন ভট্টাচার্য, গীতা দে, গীতা ঘটকরাও এই ছবি সম্পদ।
এমন সিনেমা এতদিনে দেখলেন দীপ্তি নাভাল। ৭২ বছরের অভিনেত্রী সোশাল মিডিয়ায় সুপ্রিয়াদেবীর নীতা চরিত্রের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে জানিয়েছেন, ইউটিউবের মাধ্যমে ছবিটি প্রথমবার দেখলেন তিনি। আর তাতেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন। অভিনেত্রীর কথায়, “মেঘে ঢাকা তারা – বাংলার ঋত্বিক ঘটকের এই দুর্দান্ত ক্লাসিক সিনেমা কীভাবে আমি মিস করে ফেলেছি জানি না। এই মাত্র ইউটিউবে সিনেমাটা দেখলাম। কোনও সাবটাইটেল ছাড়া। তবুও এটা আমার মনের ভিতরে গেঁথে গিয়েছে।”
এর পরই ‘মেঘে ঢাকা তারা’র সঙ্গে কাফকার ‘মেটামর্ফিস’-এর তুলনা করেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, “এই ছবি সিনেমাটিক শ্রেষ্ঠত্বের একটি অধ্যয়ন। কোনও অভিনেতা যদি এমন একটা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান, তাহলে তাঁর আর অন্য কোনও চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে থাকে না। এটি ভারতের অন্যতম সেরা সিনেমা।”
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন