শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
রোববার উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ফল ঘোষিত হয়েছে। এবার সব বোর্ড মিলে গড়ে ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, দ্বাদশ শ্রেণির গ-ি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পর্যায়ে পা রাখতে যাওয়া এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৩৭ হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫৮ হাজার ২৭৬ জন।
সেই হিসাবে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার কমেছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ পয়েন্ট। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২০ হাজার ৫৫০ জন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এসময় তার সঙ্গে ছিলেন। এবার পাসের হার কমার জন্য উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি ও খাতা মূল্যায়নের ফলে হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রী মত ব্যক্ত করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগে পরীক্ষা অনিশ্চিত ছিল। আমরা শৃঙ্খলার মধ্যে এনেছি। পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে আমরা ফলাফল দেই। এ বছর ২৩ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ২৫ মে শেষ হয়েছে। ৫৯তম দিনের মধ্যে ফলাফল দেওয়া হলো। আগে পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হতো না বলে অভিযোগ পেয়েছি। এতে দেখা যেত ভালো ছাত্ররা খারাপ আর খারাপ ছাত্ররা ভালো রেজাল্ট করতো। খাতার ওজন দেখে নম্বর দেয়ার অভিযোগও শুনেছি। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ এক্সামিনেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিট গঠন করা হয়। এটা সংক্ষেপে বেডু নামে পরিচিত। এটি গত তিন বছর ধরে কাজ করছে। শিক্ষক ও হেড এক্সামিনার ঠিকমতো খাতা দেখছেন কিনা তা তার খতিয়ে দেখে। বেডু কাজ করার পর থেকে পরীক্ষা ফলাফলে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এসএসসি পরীক্ষার খাতা বেডু দ্বারা পুনঃমূল্যায়ন করা হয়েছিল। ফলে দেখা গেছে পাসের হার শতকরা ৮ শতাংশ কমেছে। গত চার বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে এটা করা হয়েছে। দেশের মানুষ শিক্ষার গুনগত মানের পক্ষেই।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গতবারের চেয়ে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার কিছুটা কমেছে। কমেছে জিপিএ-৫ও। এ বছর বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৯৪ জন।
গত বছরে বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। সেবার জিপিএ-৫ পায় ৬ হাজার ৭৩ জন পরীক্ষার্থী। এর আগে ২০১৪ সালে পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সেবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭ হাজার ৬৪১ জন। এরপর থেকেই পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।
২০১৭ এর এইচএসসি পরীক্ষায়ঢ উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীর প্রতি আমাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল এবং যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের জন্যও আমাদের শুভ কামনা থাকলো। এই শিক্ষার্থীদের তাদের অভিভাবক, স্বজন ও সুহৃদদের উৎসাহ যোগাতে হবেÑ তারা যেন নতুন উদ্যোমে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। নিশ্চয় তাদের উৎসাহিত করা গেলে আগামীতে তারা নিজেদেরকে তেমন করেই প্রস্তুত করবে যাতে করে সাফল্য সহজেই ধরা দেয়।