এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন বিষয়ে রাজশাহীতে টিভি সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা

আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২৪, ৮:৫২ অপরাহ্ণ

তথ্যবিবরণী


এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন বিষয়ে টিভি সাংবাদিকদের এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এ কর্মশালা আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম।



প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে প্রতি লাখ নারীর মধ্যে ১১ জন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং বছরে প্রায় ৫ হাজার নারী এ রোগে মারা যায়। আমাদের যে কারো পরিবার এ ক্যন্সারে আক্রান্ত হতে পারে। তবে এটা প্রতিরোধে আমাদের সমানে সুযোগ এসছে, যে সুযোগ আমাদের স্ত্রীরা পায়নি তা আমাদের কন্যারা পাচ্ছে। এক ডোজ এইচপিভি ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার ৯৫ শতাংশ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের বেশি বিশ^াস করে মন্তব্য করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, রাজশাহীতে এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন সফল করতে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু মিডিয়াকর্মী হিসেবে নয় বরং একজন পিতা, একজন নেতা হিসেবে এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন সফল করতে নিজেদের মিডিয়াতে আন্তরিকতার সাথে প্রচারের জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সরকার অসীম কুমারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহা. গোলাম আযম, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, ইউনিসেফের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রধান এএইচ তৌফিক আহমেদ প্রমুখ। ইউনিসেফের সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন বিষয়ক অফিসার মনজুর আহমেদ অনুষ্ঠানে এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বভিন্ন মুসলিম দেশসহ বিশে^র ১৪০টির বেশি দেশে এইচপিভি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত কার্যকরী ও নিরাপদ। গত ২৪ অক্টোবর থেকে এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে যা চলবে এক মাসব্যাপী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন এ বছরের পর আর হবে না এবং পরের বছর থেকে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে শুধুমাত্র পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েদেরই এ টিকা দেওয়া হবে। তাই এ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীর আর কখনও বিনামূল্যে এটা পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ