একটা ব্রেক থ্রুর আক্ষেপ মাশরাফির

আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০১৭, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



মাশরাফি দলের অভিভাবক। ক্যাচ দুটি ধরা যেত, ধরা যায় নি এটা বলে দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু তাদের দায় দিতে চান নি।  খেলা শেষের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা যা বলেছেন সেটার সার কথাটি দাঁড়ায় ইশ! আরেকটা যদি উইকেট পেতাম! যদি আরেকটা ব্রেক থ্রু পেতাম! মাশরাফি বলেন, ‘একটা ব্রেক থ্রুর আশায় ১৩তম ওভারে তিন প্রধান বোলার মুস্তাফিজ, রুবেল ও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তারা উইকেট পায় নি, তাই ব্রেক থ্রুও জোটে নি।’ সাকিবের বেলায় হয়তো একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। সাকিবের বলে ইমরুলের ক্যাচ ধরতে না পারার বিষয়টি, সৌম্যর ক্যাচ ধরতে না পারাটা, বাউন্ডারি থেকে তারা একটু বেশি এগিয়ে থাকায় ক্যাচ দুটি মিস হওয়ায় ম্যাচ মিস হয়ে গিয়েছিল কিনা এ বিষয়গুলোও এসেছিল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে। মাশরাফি দলের অভিভাবক। ক্যাচ দুটি ধরা যেত, ধরা যায় নি এটা বলে দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু তাদের দায় দিতে চাননি। বিশেষ করে ইমরুলের বিষয়ে বলেন, ‘আমার খেয়াল নেই সে বেশি এগিয়ে ছিল কিনা। কিন্তু মাঠে যারা ছিলেন তারা দেখেছেন সৌম্য যেভাবে উইলিয়ামসনকে আর ইমরুল গ্র্যান্ডহোমকে জীবন দিয়েছেন তাতে ম্যাচ সেখানেই শেষ।’ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভূয়সী প্রশংসা করে মাশরাফি বলেন, ‘তার সাহসী ইনিংসটা না হলে আমরা হয় ১০০ বা ১১০ থেকে ১২০ রানে আটকে যেতাম।’ মাহমুদউল্লাহ ওয়ানডে সিরিজে রান পান নি। কিন্তু মঙ্গলবার দলের পক্ষে দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন। সৌম্যকে দলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ‘সৌম্য আমাদের ম্যাচ উইনিং প্লেয়ার। সে যতো ম্যাচ জিতিয়েছে আমি বা আমরা অনেকেই তা পারি নি। সৌম্যর যে খারাপ ফর্ম যাচ্ছে তা আমি দেশেও বলেছি। মঙ্গলবার সে একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম পেয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে প্রথম বলেই সে আউট হয়ে যায়।’ মাশরাফি বলেন, ‘আমাদেরতো অনেক বেশি খেলোয়াড় নেই। এই মুহূর্তে যারা আছে তাদের নিয়ে ঠা-া মাথায় এই খারাপ সময়টা পার করতে হবে।’ আরেক প্রশ্নে মিস ফিল্ডিংয়ে দুটি ক্যাচ মিস দলের হেরে যাওয়ার টার্নিং পয়েন্ট কিনা জিজ্ঞেস করলে মাশরাফি একমত হন নি। অধিনায়ক বলেছেন, ‘৩০ রানে আমাদের চার উইকেট চলে গেছে। তখনইতো আমরা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছি। তাদের উইকেট টেকার বোলাররা প্রথমেই চার উইকেট নিয়ে নেয়। ব্যাটসম্যানরা টিকে থাকলে এরপর যে সব বোলার ছিলো তাদের মেরে খেলা যেতো।’ মাশরাফি বলেন, ‘আজ আমাদের একজন ব্যাটসম্যানদের কেউ বাউন্সারে আউট হন নি। সামনে মেরে, সাধারণ বলে আউট হয়েছে।’ ব্যাটসম্যানদের মনোসংযোগে সমস্যা কিনা সে প্রশ্ন আজ আবার রাখেন বাংলাদেশ দলের  অধিনায়ক। যারা দলকে অনুসরণ করেন তারা বাংলাদেশ দলের মধ্যে চলা অসন্তোষ টের পান। দল নির্বাচনে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের একচেটিয়া কর্ত্ত্বৃ ওয়াকিফহালরা জানেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এক রকম যেন কলের পুতুল! দল নির্বাচনে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গেও পরামর্শ করেন না কোচ। আবার নেপিয়ারের ব্রিফিংয়ে সিনিয়রদের দায়িত্ব অনেক বলে এরমধ্যে ঘৃতাহুতির ঘটনা ঘটিয়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সোমবার সহঅধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘শুধু সিনিয়রদের ভূমিকা কেন, দলে ১১ জন খেলোয়াড় খেলেন, শুধু পাঁচজন না। দায়দায়িত্ব সবার। জুনিয়ররাও দায়িত্ব পালনে সক্ষম। কারণ তারা যোগ্যতার বলেই জাতীয় দলে এসেছে।’ এরমাঝে আবার নিউজিল্যান্ড যাত্রার আগে ঢাকায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলে এসেছেন দল নির্বাচন করেন অধিনায়ক-সহ অধিনায়ক। এ আগুন নেপিয়ার পর্যন্ত চলে এসেছে। মঙ্গলবারের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রশ্নটিও এসেছিল। ‘অধিনায়ক হিসাবে দল নির্বাচনে আমার নিশ্চয় ভূমিকা আছে। এ নিয়ে এখানে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না’ বলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান বুদ্ধিমান মাশরাফি।-বাংলা ট্রিবিউন