একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী!

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে ৫ ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রবাসীর গর্ভবতী স্ত্রী। সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া ৫ জন ছেলে সন্তানই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।



বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে হাসপাতালের ২২ নম্বর প্রসূতি ও গাইনি ওয়ার্ডে সন্তান প্রসব করেন ওই গর্ভবতী নারী। খবর পেয়ে জন্ম নেওয়া ৫ সন্তান দেখতে হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও স্বজনরা ওই ওয়ার্ডে ভিড় করতে থাকেন।

জানা গেছে, ৫ সন্তান জন্ম দেওয়া ওই প্রসূতির নাম মেরিনা খাতুন (২৮)। এর আগেও তার দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছিল দুই বারে। এবার তৃতীয় দফায় সন্তান প্রসব করতে গিয়ে একসঙ্গে ৫ ছেলে সন্তানের মা হোন তিনি। মেরিনার বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার শ্রীরামপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মালেয়শিয়া প্রবাসী আব্দুল মজিদের স্ত্রী। তবে আব্দুল মজিদ বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। বছর খানেক আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। সম্প্রতি তিনি আবার চাকরির সুবাদে মালয়েশিয়াতে পাড়ি দেন।

এদিকে রামেক হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক নিলুফার শারমিন বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রসূতি মেরিনাকে তার স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে আসেন। এরপর সেখান থেকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। প্রসূতির অবস্থা অস্বাভাবিক দেখে তাকে দ্রুত ওটিতে নেওয়া হয়। সেখানে সিজার করে একে একে ৫টি নবজাতককে ভূমিষ্ট করানো হয়। এসময় চিকিৎসকরাও অবাক হয়ে যান। রামেক হাসপাতালে এই প্রথম ৫টি সন্তান এক সঙ্গে জন্ম নিলো বলেও জানান ওই চিকিৎসক। ৫টি নবজাতকই সুস্থ আছে বলেও জানান তিনি।

পারিবারিক সূত্র জানায়, এর আগেও মেরিনার দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয় একজনের নাম সুমাইয়া ( ১০) অপরজনের নাম সুরাইয়া (০৬) বছর। এরইমধ্যে মেরিনা ও মজিদের ঘরে যুক্ত হলো নতুন পাঁচ সন্তান।

মেরিনার আত্মীয় নয়ন বাবু জানান, গর্ভে ২টি সন্তান থাকলেই কোনও না কোনও সমস্যা হয় প্রসূতির। এক্ষেত্রে ৫ সন্তান জন্ম দিলেও তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। প্রসূতির মেরিনার। পরিবারের সদস্যরা অনেকে খুশি হয়েছে।

এদিকে মেরিনার পাঁচ সন্তান জন্ম দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ড থেকেও রোগীর স্বজনরা ভীড় করছেন এক নজর সেই নবজাতকগুলোকে দেখার জন্য।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শঙ্কর কে বিশ^াস বলেন, মা ও নবজাতক প্রত্যেকেই এখন (সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে। তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version