একুশের বইমেলায় নিষিদ্ধ শ্রাবণ প্রকাশনী

আপডেট: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬, ১১:৫২ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


শ্রাবণ প্রকাশনীকে একুশের বইমেলায় নিষিদ্ধ করেছে বাংলা একাডেমি।
আগামী বইমেলার জন্য স্টল বরাদ্দের আবেদন করতে গিয়ে এই প্রকাশনীর কর্ণধার রবিন আহসান বিষয়টি জানতে পারেন।
রবিন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বই মেলায় স্টল পাওয়ার আবেদন করতে ফরম তুলতে গিয়ে জানতে পারি আমাদের আগামী দুই বছর কোনো স্টল দেয়া হবে না। তবে এবিষয়ে আগে থেকে কোনো নোটিস পাইনি।”
ইসলাম ধর্ম বিষয়ে লেখা একটি বই ছাপানোর দায়ে গ্রেপ্তার ব-দ্বীপ প্রকাশনীর প্রকাশক শামসুজ্জামান মানিকের মুক্তির আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কারণে বাংলা একাডেমি এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে মনে করছেন রবিন।
তিনি বলেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের উপস্থিতিতে একাডেমির ৬ষ্ঠ সভায় শ্রাবণ প্রকাশনীর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একাডেমি সংশ্লিষ্টদের কাছে তিনি জানতে পেরেছেন। “আমি টকশোতে ও মানববন্ধনে মানিকের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করেছিলাম, তার মুক্তি চেয়েছিলাম,” বলেন রবিন।
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেয়ার ‘উপাদান’ রয়েছে বলে পুলিশের কাছে শোনার পর গত বছর একুশের বইমেলায় ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দেয় বাংলা একাডেমি। এরপর তথ্য প্রযুক্তি আইনে ব-দ্বীপ প্রকাশনীর মালিক মানিককে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।
যোগাযোগ করা হলে বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত বছর ‘ইসলাম বিতর্ক’ নামের একটি বই নিষিদ্ধ করা হয়, উনারা এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
“গত ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একাডেমির কাউন্সিলে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং তাদের তৎপরতাকে বই মেলার স্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনা করে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।”
এছাড়া পাইরেটেড বই বিক্রির দায়ে আরও চার প্রকাশনীকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান জালাল।
প্রকাশনীগুলো হলো- ঐক্য প্রকাশনী, নীলপরী প্রকাশনী, রঙিনফুল প্রকাশনী ও ব-দ্বীপ প্রকাশনী।- বিডিনিউজ