বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
কাল সবচেয়ে ব্যস্ত লোকটি বোধ হয় ছিলেন স্কোরার। একটু আরামে যে হেলান দেবেন, সেই উপায় আছে! স্কোরশিটে গোলদাতার নাম, মিনিট লিখতে না লিখতেই যে আরও একটা গোল। এবং এরপর আরও আরও গোল!
গোলবন্যা কথাটা অনেকবার লেখা হয়েছে। পড়েছেনও। কিন্তু এর আসল মানে কাল বোঝা গেল চ্যাম্পিয়নস লিগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বনাম লেগিয়া ওয়ারশ ম্যাচে। প্রথমার্ধেই এল ৭ গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথমার্ধে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা গড়েও গোলের ক্ষুধা এতটুকু কমল না। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৫ গোল। সব মিলিয়ে ১২ গোলের এই ম্যাচে বরুসিয়া জিতল ৮-৪ ব্যবধানে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এটাই এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড।
১০ মিনিটে আলেকজান্ডার প্রিয়াভিচের গোলে যে-ই না খাতা খোলার শুরুটা হলো, পরের ২২ মিনিটের মধ্যে স্কোরবোর্ডে জমা হয়ে গেল ৭ গোল। তবে লেগিয়া প্রথম গোলটা দিলেও বরুসিয়া প্রথমার্ধ শেষ করল ৫-২-এ গিয়ে থেকে। শিনজি কাগাওয়া আর মার্কো রিউস জোড়া গোল করলেন। বরুসিয়ার অন্য গোলটি নুরি শাহিনের।
প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটের মধ্যেই আসলে লেখা হয়ে গিয়েছিল ৫ গোল। যেটিও চ্যাম্পিয়নস লিগের রেকর্ড। সব মিলিয়ে এক ডজন গোলে ১৩ বছর আগের রেকর্ড ভাঙল। যেবার মোনাকো ৮-৩ গোলে হারিয়েছিল দেপোর্তিভোকে।
আর সেই রেকর্ডটা হতে দ্বিতীয়ার্ধেও হলো গোলবন্যা। পরের ৪৫ মিনিটে দুই গোল করল লেগিয়া, তিনটা যোগ করল বরুসিয়া। একদম যোগ করা সময়ে গিয়েই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন রিউস। ১২ গোলের পয়সা-উসুল ম্যাচ দেখার তৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফিরল বরুশিয়ার দর্শকেরা। লেগিয়াও খুশি, এক ম্যাচে চার গোল করা তাদের মতো ক্লাবের জন্যও কম কীসে!
চ্যাম্পিয়নস লিগ নাম হওয়ার পর এক ম্যাচে এটাই সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড। তবে ইউরোপিয়ান কাপ যুগ ধরলে এক ম্যাচে ১৪ গোলও দেখা গিয়েছিল। ১৯৫৯-৬০ আসরে ফেইনুর্দ ১২-২ গোলে হারিয়েছিল আইসল্যান্ডের রিয়াকজাভিককে। ১৯৬০ সালের ফাইনালে ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৭-৩ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ফাইনালের মতো ম্যাচেও হয়েছিল ১০ গোল!-প্রথম আলো অনলাইন