এক-তৃতীয়াংশ জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান

আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০১৬, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক :



আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের এক-তৃতীয়াংশ চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হচ্ছেন। প্রার্থীদের দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। এক্ষেত্রে অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে অবৈধ ঘোষণা হয়েছে। এরপর মাঠ পর্যায় থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে ৬১ জেলার মধ্যে ১৯ জেলায় একক প্রার্থী পাওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জে জিল্লুর রহমান, গাজীপুরে আখতার উজ্জামান, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান, ঝালকাঠিতে সরদার মো. শাহ আলম, ঠাকুরগাঁওয়ে মু. সাদেক কোরাইশী, ঢাকায় মাহবুবুর রহমান, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় একেএম ফজলে রাব্বি, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন ও নারায়ণগঞ্জে আনোয়ার হোসেন একক প্রার্থী।
এছাড়া নেত্রকোণায় প্রশান্ত কুমার রায়, বরগুনায় দেলোয়ার হোসেন, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ভোলায় আব্দুল মুমিন টুলু, মুন্সীগঞ্জে মহিউদ্দীন, যশোহরে শাহ হাদীউজ্জামান, শেরপুরে চন্দন কুমার পাল, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
এদিকে কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নারসিংদী, রংপুর, লালমনিরহাট ও শরীয়তপুরেও একক প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
চেয়ারম্যান পদে দু’জন করে প্রার্থী রয়েছে ১৩ জেলায়। এগুলো হলো- কক্সবাজার, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, নীলফামারী, ফরিদপুর, ফেনী, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মাদারীপুর ও সাতক্ষীরা।
তিনজন করে প্রার্থী রয়েছে- খুলনা, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, মাগুরা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীতে।
চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী, নড়াইল, পাবনা, পিরোজপুর, বরিশাল, মেহেরপুর, রাজবাড়ী, লহ্মীপুর, সিলেট ও সুনামগঞ্জে রয়েছে চার জন করে প্রার্থী।
পাঁচজন করে প্রার্থী রয়েছে- গাইবান্ধা, মানিকগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে। আর ছয়জন প্রার্থী চাঁদপুরে, সাতজন জামালপুরে এবং পঞ্চগড়ে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৮ ডিসেম্বর তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৭ ডিসেম্বরও আপিল করা যাবে। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি হবে। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রায় সব নির্বাচনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে ৩শ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সে ধারাবাহিকতা বজায় ছিল চতুর্থ উপজেলা পরিষদ, নবম পৌরসভা নির্বাচন ও নবম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও।
দেশে প্রথবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। নির্দলীয় এ নির্বাচনে জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় সরকার অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউপির নির্বাচিত সদস্যরা ভোট দিয়ে প্রার্থী নির্বাচিত করবেন।
এ নির্বাচনে দেশের ৬১ জেলায় প্রায় ৬১ হাজার ভোটার রয়েছে। যারা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচিত করবেন।- বাংলানিউজ