এক দশক পরে বিধানসভা নির্বাচন, গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল কাশ্মির

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন জম্মু ও কাশ্মীরে। বুধবার প্রথম দফার ভোট। তিনটি দফায় ভোটগ্রহণ হবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। ৮ অক্টোবর ফল ঘোষণা। এদিন সকাল থেকেই বুথমুখী উপত্যকার মানুষ। চলছে অবাধ ভোটগ্রহণ।

শেষবার জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন অবশ্য উপত্যকা ছিল পূর্ণ রাজ্য। কিন্তু ২০১৯ সালের আগস্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এর পর থেকেই এটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়।

অবশেষে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। এক দশক পরে ভোট দিতে পেরে মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ লক্ষ করা গিয়েছে। অন্তত সকালের ট্রেন্ড তাই বলছে। ভোটের হার সর্বত্রই আশাব্যাঞ্জক।

উল্লেখ্য, বুধবার ২৪ আসনে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে জম্মুতে আটটি এবং কাশ্মীরে ১৬ আসন রয়েছে। ভাগ্য নির্ধারিত হবে ২১৯ জন প্রার্থীর। ৩২৭৬টি বুথে ভোট দিচ্ছেন ২৩ লক্ষ ভোটার। এর মধ্যে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংখ্যা ৩৫ হাজার। এদিকে আজ দিল্লিতেও চলছে ভোটগ্রহণ। এখানকার চারটি বুথে ভোট দিচ্ছেন কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা।

প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মোট আসন ১১৪টি। যার মধ্যে ২৪টি পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে। এই ২৪টি আসন সংরক্ষিত থাকায় লড়াই হবে ৯০টি আসনে। যার ৪৩টি জম্মুতে। কাশ্মীরে ৪৭টি। অর্থাৎ সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার ৪৬।

জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আপাতত যা ভবিষ্যৎবাণী করছেন বিশেষজ্ঞরা, তাতে ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এমনকী এমনও হতে পারে, কোনওপক্ষই জোটাতে পারল না ম্যাজিক ফিগার। শেষপর্যন্ত কী হয় তা সময়ই বলবে। তবে আপাতত এক দশক পরে বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের মেজাজ।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ