এক বছরেও চালু হয় নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বৈদ্যুতিক জেনারেটর ।। ভোগান্তিতে রোগিরা

আপডেট: আগস্ট ১, ২০১৭, ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

শিবগঞ্জ প্রতিনিধি


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উচ্চক্ষমতা সম্পূর্ণ (১০ কেভি) জেনারেটরটি জ্বালানি সঙ্কটের কারণে গত এক বছরেও চালু করা সম্ভব হয় নি। এর ফলে বিদুৎ চলে গেলে রোগিদের অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ৮ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিদ্যুৎ সঙ্কট নিরসনের জন্য ১০ কেভি একটি জেনারেটর বরাদ্দ দেয়। কিন্তু প্রায় এক বছরেও এ জেনারেটরটি চালুকরণের জন্য জ্বালানি খাতে কোন বরাদ্দ আসে নি। ফলে জেনারেটর চালু করাও সম্ভব হয় নি। এদিকে চলতি বছরের ১১ জুলাই রাতে শিবগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পাওয়ার ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গেলে শিবগঞ্জ পৌরসভাসহ দুলর্ভপুর, মনাকষা ও বিনোদপুর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায়। টানা পাঁচ দিন বিদ্যুৎ ছিল না পিডিবি আওতাধীন এলাকায়। এই পাঁচ দিনেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটরটি চালু করা হয় নি। ফলে প্রচণ্ড গরমে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগিরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। অপরদিকে এক্সে, ইসিজি, আলট্রাসনগ্রাফী বিভাগ অচল হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রোগিদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ ব্যাপারে জানতে হাসপাতালে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলামকে পাওয়া যায় নি। এছাড়াও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে সংশ্লিষ্টরা জানায়, তিনি নিয়মিত অফিস না করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে তার প্রতিষ্ঠিত দিবা-নিশি ক্লিনিকে অবস্থান করেন। অন্যদিকে জেনারেটর চালু রাখার জন্য গত অর্থবছরে কোন বরাদ্দ এসেছে কি না তা জানার জন্য হাসপাতালের প্রধান করনিক শওকতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. শামীমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরিচালক অর্থদফতর থেকে সরাসরি বিভিন্ন খাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটর সমস্যা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলামের অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে পরিচালক স্বাস্থ্য রাজশাহী ডা. সোভানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানালেও অদ্যবধি পর্যন্ত কোন সমস্যার সমাধান করেন নি। এমনকি জেনারেটর খাতে গত অর্থবছরে কোন প্রকার অর্থ বরাদ্দ এসেছে কি না তাও জানতে ব্যর্থ হয়েছেন পরিচালক স্বাস্থ্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ