মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নয় বছর আগে দেওয়া রুলের শুনানি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার ২০০৮ সালের একটি রুল যথাযথ ঘোষণা করে এই রায় দেয়।
২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা খালেদা জিয়া এ মামলায় নিম্ন আদালত থেকে জামিনেই রয়েছেন।
রুলের শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এজে মো. আলী ও জাকির হোসেন ভূইয়া। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
রায়ের পর খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, “২০০৮ সালে যে রুল হয়েছিল, তার শুনানি শেষে আদালত তা অ্যাবসলিউট করেছে। দুদক আগে পক্ষভুক্ত ছিল না, এবার পক্ষভুক্ত হয়ে শুনানিতে অংশ নিয়েছে।”
দুদকের এই আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দেয়া হলেও তিনি যদি এর অপব্যবহার করেন, তাহলে বিচারিক আদালত জামিন বাতিল করতে পারবে।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওই সময়ে এ মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারও দেখানো হয়।
হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ ২০০৮ সালের ২৬ অগাস্ট বিএনপি চেয়ারপারসনকে অন্তর্র্বতীকারীন জামিন দিয়ে রুল জারি করে। তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না তার কারণ জানাতে চাওয়া হয় সেই রুলে।
সরকার ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও হাই কোর্টের দেয়া জামিন সে সময় বহাল থাকে। ২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া মুক্তি পান এবং পরে নিম্ন আদালত থেকেও এ মামলায় তাকে জামিন দেয়া হয়।
তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
বর্তমানে মামলাটি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে রয়েছে।
বিচার কার্যক্রম চলার সময়ে লন্ডনে অবস্থান করায় এ মামলায় খালেদার জামিন বাতিলের আবেদন করেছে দুদক, যা ওই আদালতে আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
অন্যদিকে ন্যয়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া এ মামলায় চতুর্থবারের মত বিচারক বদলের আবেদন করেছেন, যা হাই কোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ