বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
মাঠ পর্যায়ে বারবার তাগাদা দিয়েও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবার ভোগান্তি কমছে না। তাই এবার কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্রগুলো জানিয়েছেন, অনেক সংশোধনের আবেদন মাসের পর মাস পড়ে থাকে। অনেকের আবেদন ক্যাটাগরি (সংশোধনের জটিলতা অনুযায়ী ধরন নির্ধারণ) না করে ফেলে রাখা হয়। আর ক্যাটাগরিতে না ফেলা হলে সার্ভারে সংশ্লিষ্ট আবেদনের কোনো অগ্রগতি হয় না। ফলে শুরুতেই গতিহীন হয়ে পড়ে অনেকের আবেদন।
বিষয়টি ইসি সচিব শফিউল আজিমের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের কার দপ্তরে কোনো ক্যাটাগরিতে কত আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। আর তথ্য পাঠাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ইসির এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম ইতিমধ্যে নির্দেশনাটি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সচিব মহোদয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাগণকে তার আওতাধীন সকল জেলার এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রেরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এক্ষেত্রে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এক মাসের কম সময়ের কতটি আবেদন, এক মাসের বেশি তবে তিন মাসের কম সময়ের কতটি আবেদন, তিন মাস বা তার বেশি তবে ছয় মাসের কম সময়ের কতটি আবেদন এবং ছয় মাস বা ছয় মাসের বেশি সময়ের কতটি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে আছে তা ক্যাটাগরি অনুযায়ী জেলা ভিত্তিক তথ্য পাঠাতে হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই তথ্য আসার পর বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে কোন কর্মকর্তা কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে নাগরিক সেবাটি দিচ্ছেন। সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানাগেছে, কেবল ক ক্যাটাগরিরই ৩০ হাজার ৩৮৬টি আবেদন ‘ঝবহঃ ইধপশ ঃড় ঈরঃরুবহ’ এবং ১৭ হাজার ৪৩৭টি আবেদন ‘অফফরঃরড়হধষ উড়পঁসবহঃ জবয়ঁরৎবফ’ স্ট্যাটাসে অনিষ্পন্ন রয়েছে। এ সকল আবেদন ২০১১ সাল এবং তৎপরবর্তী দীর্ঘ সময় যাবত অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব শফিউল জানিয়েছেন, এনআইডি সেবায় খুব মার্জিন লেবেলের এরর আছে। আমরা চেষ্টা করছি ১০০ ভাগ নির্ভুল করতে এবং দুর্নীতিমুক্ত করতে, দ্রুত মানুষ যেন সেবা পায় সেই চেষ্টা করছি।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ