শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি। বাইরে থেকে আলো ঝলমলে। কিন্তু সেই সূর্যই সবচেয়ে রহস্যময়। এবার তাই সৌর অভিযানে নামছে দেশের বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। শনিবার এমনই ঐতিহাসিক ঘোষণা করেছেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। আগামী জুন বা জুলাই মাসে অভিযান শুরু হওয়ার কথা। লক্ষ্য, সূর্যের করোনাগ্রাফ নিয়ে গবেষণা। এই কাজে ইসরোকে সাহায্য করতে পারে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স।
এর আগে একাধিকবার চাঁদে পাড়ি দিয়েছে ইসরো। মঙ্গলাভিযানের প্রস্তুতিও চলছে। তারই মাঝে ইসরো ঘোষণা করে দিল সূর্য অভিযানের কথা। সূত্রের খবর, আইআইএ’র বসানো যন্ত্র আদিত্য-এল১’এর মাধ্যমে সম্প্রতি সূর্যের ভিজিবল লাইন এমিশন করোনাগ্রাফ থেকে কিছু তথ্য মিলেছে। তার উপর ভিত্তি করে আরও বিস্তারিত জানার লক্ষ্যে সূর্য অভিযানের সিদ্ধান্ত ইসরোর। এটাই ভারতের প্রথম সৌর অভিযান।
এনিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জাানিয়েছেন, “আসলে পৃথিবীর আশপাশে এই ব্রহ্মা-ে কী ঘটে চলেছে, তা বোঝা খুবই দরকারি। আদিত্য-এল১ এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। ১৫ বছর আগে ঠঊখঈ একটি ধারণা দিয়েছিল মাত্রা। এবার তার জটিল, যৌগিক স্তরগুলি আমাদের বুঝতে হবে। ইসরো ও আইআইএ-র মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল বিষয়।” ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের আদিত্য-এল১ ঠঊখঈ সম্পর্কে যা যা তথ্য দিয়েছে, তা বিশ্লেষণের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। এবার নতুন করে গণনা ও গবেষণার কাজ শুরু হবে এবং তা ইসরোর হাত ধরেই।
এবার সহজে বুঝে নেওয়া যাক এই আদিত্য-এল১ ঠিক কী? ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্টের কাছ থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা পৃথিবীর মধ্যস্থলে একটি সিস্টেম, যা মূলত সূর্য সম্পর্কিত তথ্যই জানতে পারবে। এবার প্রশ্ন, ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্ট কী? মহাজাগতিক বস্তু নিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এটি অতি সাধারণ একটি ফ্যাক্টর। দুই ভারী বস্তুর মহাকর্ষ বলের মধ্যে যে ছোট বস্তুটির অবস্থান, তিন বস্তুর মধ্যে সাম্য বজায় রাখা বিন্দুগুলিকে বলা হয় ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্ট। এই বিন্দুকে কাজে লাগিয়ে এই সংক্রান্ত বহু গাণিতিক সমস্যা সমাধান করা যায়। সৌর অভিযানের ক্ষেত্রে এই ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে নিঃসন্দেহে। আর সেই কারণে VELC’র তথ্যকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে ইসরো।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন