রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
ঐতিহাসিক শহরে অভিনব উদ্যোগ। শুরু হল শতাব্দী প্রাচীন গাছের পরিচয়পত্র তৈরির কাজ। ফরাসি শহর চন্দননগর, সেই শহরের ঘর বাড়ি সব কিছুই ঐতিহ্যপূর্ণ। শহরের বিবর্তনের ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে আজও যারা বেঁচে রয়েছে তাদের দেওয়া হচ্ছে এবার বিশেষ গুরুত্ব। তৈরি হচ্ছে গাছের পরিচয়পত্র।
বেশ কিছুদিন আগেই অভিনব এই কাজ শুরু করছে চন্দননগর পুরনিগমের বায়ো ডাইভারসিটি ডিপার্টমেন্ট। শতাব্দী প্রাচীন চন্দননগরের গাছ যারা শহরের ফরাসি আমল থেকে বর্তমান প্রজন্ম পর্যন্ত টিকে রয়েছে তাদের জন্য এই অভিনব পরিচয়পত্র তৈরি কাজ প্রায় শেষের দিকে।
নতুন বছরের শুরুতেই দেখতে পাওয়া যাবে গাছের আধার কার্ড। চন্দননগর শহরের প্রত্যেকটি গাছের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র। ইতিমধ্যেই গাছের পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য নথিভুক্তকরণের জন্য প্রতি গাছের আলাদা কিউআর কোড তৈরি করা হচ্ছে। এরপর ফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করে গাছ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন খুব সহজেই।
চন্দননগর স্ট্যান্ড ও চার্চ সহ একাধিক জায়গায় গাছের গায়ে নাম্বারিং করার কাজ শেষ হয়েছে। কোন প্রজাতির গাছ, কী তাদের পরিচয়, সেই সম্পর্কিত সকল তথ্য পাওয়া যাবে তাদের পরিচয় পত্র স্ক্যান করে।
এই প্রসঙ্গে বায়ো ডাইভারসিটি ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সম্পাদক সোমনাথ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, সম্প্রতি চন্দননগর মহাবিদ্যালয় কলেজের বোটানি বিভাগে প্রতিটি গাছ আলাদা আলাদা করে সনাক্তকরণ করার কাজ সম্পন্ন করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে একটি ইউ আর কোড। যে ইউআর করতে স্ক্যান করলে গাছ সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে।
প্রাথমিকভাবে চন্দননগর পাতালবাড়ি থেকে স্ট্যান্ড ঘাট ও বড়বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১৫০ থেকে ২০০টি গাছে এই কিউআর কোড দেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন