রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কৃষ্ণ পদ রায়, খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) মো. মোজাম্মেল হক এবং অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।মঙ্গলবার আলাদা তিনটি প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানোর কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৩ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হল। এর মধ্যে সাতজন অতিরিক্ত আইজি, পাঁচজন ডিআইজি পদমর্যাদার এবং একজন অতিরিক্ত কমিশনার। এ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের চুক্তিও বাতিল করা হয়েছে।
সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী ‘জনস্বার্থে’ সরকারি চাকরি থেকে তাদের অবসরে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
ওই ধারায় বলা আছে, “কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যেকোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে।”
অবসরে পাঠানো কৃষ্ণপদ রায় পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত ছিলেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। কৃষ্ণপদের চাকরির বয়স ২৯ বছর।
আর খুলনার কমিশনার মোজাম্মেল হক ২৫ বছর ধরে পুলিশের চাকরি করছেন। এ দুজনসহ অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম এখন বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুযোগ-সুবিধা পাবেন।আওয়ামী সরকারের পতন আর অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল, পদন্নোতি ও চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া, শিল্পাঞ্চল পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মো. মাহাবুবর রহমান এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র।
আগের দিন বুধবার পুলিশ সদরের অতিরিক্ত আইজি আতিকুল ইসলাম, সংখ্যাতিরিক্ত অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন এবং ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি পদমর্যাদার) মো. আসাদুজ্জামানকে অবসরে পাঠানো হয়।
গত ১৩ আগস্ট পুলিশের আলোচিত কর্মকর্তা এসবির অতিরিক্ত আইজি মনিরুল ইসলাম ও ডিএমপির সদ্যসাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানকে অবসরে পাঠানো হয়।একই দিনে অবসরে পাঠানো হয় রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি পদমর্যাদার) মো. মনিরুজ্জামান এবং পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেনকে।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ