বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
আচ্ছা, মাহমুদউল্লাহর দ্বিতীয় বলটাও যদি বাউন্ডারির অন্য প্রান্তে যেত তাহলে কী হতো? নিশ্চয় বুঝে গেছেন, কোন ওভারের কথা বলা হচ্ছে! প্রথম ওভারে ৪ রান দেয়ার পর মাহমুদউল্লাহর কাছে আবারো বল তুলে দেয়া হলো নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ১৩তম ওভারে। প্রথম বলেই ছক্কা খাওয়ার পর পরের বলটা ভালোই করেছেন এই অফ স্পিনার। সে বলে দুই রান, ওটাই শেষ। এর পরের ৪ বলে যা হলো, সেটা রীতিমতো দুঃস্বপ্ন। ছয়, চার, চার, ছয়! ওই ওভারেই ২৮ রান দিয়ে বোলিং আক্রমণ থেকে সরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।
অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার রেকর্ডটি তবু ছুঁতে পারেন নি মাহমুদউল্লাহ। সে রেকর্ড যে অনেক আগের থেকেই রুবেল হোসেনের দখলে। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের শেষ পাঁচ বলে ২৮ রান দিয়েছিলেন রুবেল। বলা ভালো, মারলন স্যামুয়েলসের বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছিলেন। ওই ওভারের প্রথম বলে লেন্ডন সিমন্স ১ রান নেয়ায়, মোট ২৯ রান খরচ হয়েছিল তাঁর। সেটাই টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে খরুচে ওভার হয়ে আছে বাংলাদেশের।
ওয়ানডের রেকর্ডটা অবশ্য ওই ২৮ রানের। এবারের হতভাগ্য বোলারটি এনামুল হক। ২০০২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সে দুর্ভাগ্য হয়েছিল তার। ইনিংসের নবম ওভারে এসেছিলেন, চতুর্থ বলেই শুধু কোনো রান হয় নি। বাকি ৫ বলে ৪ ছক্কা ও ১ চারে শহীদ আফ্রিদি তুললেন ২৮ রান! সে রেকর্ড আর ভাঙতে পারেন নি কেউ। সোহরাওয়ার্দী শুভ অবশ্য খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন (২৭ রান), ২০১১ সালে শেন ওয়াটসন যেদিন বেধড়ক পিটিয়ে ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম বলে রিকি পন্টিংয়ের ১ রানের পর টানা চারটি ছয়, শেষ বলে দুই রানের পরিবর্তে একটা চার বা ছয় হলেই নতুন রেকর্ড হয়ে যেত সেদিন। ওয়ানডেতে এভাবে অকাতরে রান বিলানোর প্রথম ঘটনার অবশ্য দেড় যুগ পূর্তি হয়েছে। সাত বছর পর ওয়ানডেতে বোলিং করতে নেমেছিলেন আকরাম খান। ১৯৯৭ সালে এশিয়া কাপের সে ম্যাচে আকরাম খানের ১ ওভারে ২৭ রান তুলেছিলেন সনাৎ জয়াসুরিয়া (২৬) ও মারভান আতাপাত্তু (১)। প্রতিটি ঘটনার ম্যাচেই বাংলাদেশ যে পরাজিত দলে ছিল সেটা বোধ হয় না বললেও চলত!-প্রথম আলো অনলাইন