এলাকা-আয় ভেদে বিদ্যুৎ ও পানির দাম

আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

প্রস্তাব কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হোক

বিদ্যুৎ ও পানির বিল এলাকা, পরিবার বা আয়ের ওপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা নির্ধারণ করা হবে। নগর বা গ্রামীণ এলাকায় সেবাদাতা কোম্পানির ধরন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও পানির সেবামূল্যে সামান্য পার্থক্য থাকে। কিন্তু সরকার থেকে বলা হচ্ছে, এখন এসব সেবার মূল্য আয় অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ সরকার আর এ খাতে ভর্তুকি দিতে নারাজ। ৯ নভেম্বর একনেক সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ ও পানিতে সাবসিডি দেয় আর সেটার সুবিধা সবাই ভোগ করে। কিন্তু সেটা যুক্তিসঙ্গত নয়। সাবসিডি থেকে সরে আসতে হবে, এজন্য এলাকা, আয় ও পরিবার অনুযায়ী বিল নির্ধারণ করতে হবে।’ সরকার গত কয়েক বছর ধরেই এলাকাভিত্তিক বিদ্যুৎ-পানির মতো জরুরি সেবার দাম নির্ধারণের কথা বলে আসছে। অর্থাৎ যেসব এলাকার মানুষের আয় বেশি তাদের বিলও বেশি আসবে। আর যেসব এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষ বেশি সেসব এলাকাও বিলও হবে কম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ছিল পানি এবং বিদ্যুতের অপচয় রোধ করতে একটা পলিসি বা নীতিমালা তৈরি করা।

দেশের একেকটি এলাকায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বসবাস করে। আয়ের ভিত্তিতে ভাগ করতে গেলে তাদের সবার তথ্য সংগ্রহ করে সেই অনুযায়ী আলাদা আলাদা মূল্য নির্ধারণ করাটা চ্যালেঞ্জের বটে। আরো কিছু ক্ষেত্রে সক্ষমতার ঘাটতিও থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে উদ্যোগটা আর নেয়া যায় না- এমনটি ভারাও কোনো যৌক্তিকতা হতে পারে না। অনুশীলন ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিইে সামনে এগোনোর পথ তৈরি করে নিতে হবে। কিন্তু সমাজে ন্যায্যতা সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতেই হবে। দেশে পরোক্ষা কর আদায়ের ক্ষেত্রেও ন্যায্যতার অভাব আছে। একটি লাক্স সাবান ক্রয়ের ক্ষেত্রে একজন নিম্ন আয়ের বা দরিদ্র মানুষ যে পরিমাণ পরোক্ষ কর দেন একজন ক্রোড়পতিও ওই সাবান ক্রয় করে সেই একই কর দেন। এটা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এ ক্ষেত্রেও ন্যায্যতা সৃষ্টির দাবি আছে।

সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এলাকা-আয় ভেদে বিদ্যুৎ ও পানির দাম নির্ধারণের প্রস্তাব শিগগিরই কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হোক।