বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
এসডিজি বিষয়ক বিভাগীয় পর্যায়ের উপস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, এসডিজি অর্জন আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই। এটাকে গাফলতির অর্থই হবে আত্মহত্যার শামিল। অতএব আমাদের দক্ষতা ও সক্ষমতার সবটুকু দিয়ে এসডিজি অর্জন করতে হবে।
তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ের এসডিজি উপস্থাপনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এই এসডিজি উপস্থাপনের মধ্য দিয়েই এই কর্মসূচির সূত্রপাত হলো।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসডিজি বিষয়ক উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে এসডিজি সম্পর্কিত কী নোট উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ( সার্বিক) মো. মুনির হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. আমিনুল ইসলাম। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগের জেলাপ্রশাসকগণসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় দৈনিকের সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাস করে। সেই লক্ষেই তারা সারা দেশে উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালিত হয়েছে। তার সুফল হিসেবে বাংলাদেশ ক্রমশই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসডিজি অর্জনে আমাদের সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। মানুষ জন্মকে কাজের মধ্যেই প্রতিভাত করতে হবে। পৃথিবীতে এসে আমরা যা পেয়েছি, তার চেয়ে উন্নত করে রেখে যেতে হবে।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুনির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার তমিজউদ্দিন আহমেদ, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইঞা, সমাজসেবী শাহিন আক্তার রেণীসহ রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলার জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারাসহ রাজশাহীর গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।