মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:রমজান মাস আসার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যর। যা এখনও কমেনি। বরং ব্যবসায়ীরা বলছে, দামও আরও বাড়বে। গেল সপ্তাহ থেকে ডাল থেকে থেকে তেলের দাম বেড়েছে। এর আগেই থেকেই বেড়েছিল চালের দাম। মাঝে আলুর দাম বাড়লেও এখন তা নিম্নমুখি আছে।
রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন নিত্যপণ্যর তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারের বিভিন্ন দোকানে মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি, অ্যাঙ্কর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি, মুগডাল বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা লিটার, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ টাকায়। প্যাকেট আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় , খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
বিভিন্ন নামের চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়, মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা কেজিতে।
খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন, এখনও রোজার বাকি দেড় মাস। কিন্তু, বাজারে খেজুর, ছোলা, ডাল, ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। আগামীতে দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা তাদের। এ পরিস্থিতিতে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। যদিও পণ্যের দাম দিনদিন বেড়ে যাওয়াকে অন্যভাবে দেখছেন বিক্রেতারা। রমজানকে লক্ষ্য রেখেই যে ধীরে ধীরে বাড়ছে।
আদা ও রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। এ ছাড়া মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা হালি ও সাদা ডিম ৪৪ টাকা। হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা হালি।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি নতুন আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। এদিন ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৬০ কেজি, বেগুন ৮০ টাকা কেজি, সজনার ডাটা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, শশা প্রতিকেজি ৬০ টাকা, মূলা ২০ টাকা ও প্রতিটি ব্রকলি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। প্রতিহালি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, প্রতিকেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপেঁ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে।
অপরদিকে, মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, কই ৫৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ৩০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা ও শিং ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
বয়লার মুরগী বিক্রি হয়েছে ১৯০ কেজি দরে। হাইব্রিড সোনালী প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, সোনালী ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি মুরগি ৪৮০ টাকা সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা, পাতিহাঁস ৪২০ টাকা, রাজহাঁস ৬০০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা। এদিন খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১১৫০ টাকা ও গরু ৭৫০ টাকা।