মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলের অভ্যন্তরে থাকলেও তাঁর ‘খাতির যতেœ’ মাস গেলে কম করে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করছেন জেল কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের পাঁচ আগস্ট তোষাখানা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমরান খান। প্রথমে তাঁর ঠাঁই হয়েছিল পাঞ্জাব প্রদেশের অটোক কারাগারে। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে। সম্প্রতি লাহোর হাই কোর্টের কাছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় যা যা ব্যবস্থাপনা রয়েছে তা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন আদিয়ালা কারাগার কর্তৃপক্ষ। সেখানে উল্লেখ করা হয় ইমরানের নিরাপত্তা রক্ষার মাসিক খরচ ১২ লক্ষ টাকা।
আদিয়ালার জেল সুপারের দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমরানের জন্য জেলের ভিতরে লাগানো হয়েছে পাঁচ হাজার টাকার সিসিটিভি। যা কারাগারের অন্য বন্দিদের তত্ত্বাবধানে জন্য রাখা ক্যামেরা থেকে আলাদা। জেলে রয়েছে ইমরানের জন্য আলাদা রান্নাঘর। সেখানে সর্বক্ষণ পাহারায় থাকে একজন। রান্নার পর ওই খাবার চেখে দেখেন অন্য আরেক ব্যক্তি। এছাড়াও তাঁর জন্য রয়েছে ৬ সদস্যের বিশেষ মেডিক্যাল টিম। যাঁরা রোজ ইমরানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। জেলের ৭টা বিশেষ সেলের মধ্যে দুটি বরাদ্দ রয়েছে তাঁর জন্য। এমনকি সেখানে তাঁর হাঁটাচলা করার জন্যও আলাদা জায়গা তৈরি করা হয়েছে। এই এতো কিছুর জন্য প্রত্যেক মাসে গুণতে হয় মোটা টাকা।
উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীকে ১৪ বছর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। বিপুল অঙ্কের জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁদের। পাশাপাশি বলা হয়েছিল, আগামী ১০ বছর তাঁরা কোনো সরকারি পদে বসতে পারবেন না। এই রায়ের জন্যই দেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি ইমরান খান। যা দেখে তাঁর দল পিটিআই-এর একাংশের দাবি, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে ভোটের লড়াই থেকে দূরে রাখতেই এই রায় দিয়েছিল আদালত।
কিন্তু ১ এপ্রিল ১৪ বছরের হাজতবাসের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। ইদের ছুটির পর মামলার শুনানি হবে, তার পরই চূড়ান্ত রায় দেবেন আদালত। তবে রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। কারণ অন্যান্য একাধিক মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত এই দম্পতি।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন