বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ সময়োপযোগী
করোনা ভাইরাস আবারো চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। নতুন রূপ-রঙে সংক্রমণ বাড়াতে শুরু করেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠারই কথা। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরাসহ জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন.১ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের কিছু দেশে এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলক টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এই পরামর্শ দিয়েছেন।
কমিটি বলেছেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে এবং নতুন ওই ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে সবার মাস্ক পরাসহ জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বেড়ে গেলে নমুনা পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসা এবং বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিঙের প্রস্তুতি নিতে হবে। ধরনটি বাংলাদেশে আসবে না ধরে নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। কারণ, এখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ খুব সহজ হয়ে গেছে। যেসব দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রীরা আসছেন। তাদের কারো মধ্যে ভাইরাসের এই ধরনটি থাকলে সেটি বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। আশঙ্কা যে নাই তা বলা যায় না।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ না থাকলেও দেশে করোনা পরিস্থিতি উর্দ্ধমুখি হচ্ছে। করোনা ভাইরাস এতোদিন টিমটিম করে বিরাজ করলেও ইদানিং তা বাড়তে শুরু করেছে। এটাও উদ্বেগের কারণ। বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ নমুনার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন.১-এর ঝুঁকিÑ সব মিলিয়েই জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য। সময় থাকতেই প্রয়োজনীয় জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেয়াই সমীচীন হবে।