কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উন্নয়নে নিবেদিত প্রার্থীই নতুন ভোটারদের পছন্দ

আপডেট: জুন ১, ২০২৩, ১:০৬ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরইমধ্যে প্রার্থী যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৩০ হাজার ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দিবেন। তরুণ এই ভোটারদের কাছে টানতে এরইমধ্যে প্রার্থীরা নানা আশ^াস দিচ্ছেন। আর নির্বাচন থেকে দূরে থাকা বিএনপি নির্বাচন বয়কট করতে উৎসাহ দিচ্ছে। তবে নতুন এই ভোটাররা বিএনপির ডাকে নির্বাচন থেকে আসবে না কি যোগ্যপ্রার্থী খুঁজে নিবেন এমন প্রশ্নের মাঝেই নতুন ভোটাররা বলছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উন্নয়নে নিবেদিত প্রার্থীকেই তারা বেছে নেবেন।

নগরীর বেশ কয়েকজন নতুন ভোটারের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছে, জীবনের প্রথম ভোট, প্রথম অভিজ্ঞতা। সেখান থেকে দূরে সরে আসার প্রশ্নই আসে না। তবে পছন্দের তালিকায় সেই প্রার্থীদেরই রাখবেন, যারা সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ায়। বিশেষ করে কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারবে।

নতুন এই ভোটাররা বলছেন, বিগত পাঁচ বছরে রাজশাহীর অনেক কিছুই বদলে গেছে। সেই বিষয়টিও তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় যে মেয়রপ্রার্থী ও কাউন্সিলরপ্রার্থী কাজ করতে পারবেন বা সে সক্ষমতা ওই প্রার্থীর আছে বলে মনে হবে তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা মো. নাহিদ হোসেন (২১)। সে এবার প্রথমবারের মতো সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেবেন। তিনি জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনো প্রচারণা শুরু না হলেও মোড়ে মোড়ে নির্বাচনী আলোচনা জমজমাট। আর তিনিও যেহেতু ভোট দেবেন, তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। চোখের সামনে বিগত ৫ বছরে নিজের এলাকার অনেক পরিবর্তন দেখেছেন। এর ধারাবাহিকতা রক্ষাসহ পড়াশোনা শেষে যেন তাকে বসে থাকতে না হয়, যে ব্যবস্থা যে প্রার্থী করতে পারবে, তাকেই ভোট দেবেন।

একই এলাকার অভিষেক জানান, বিগত দিনে চোখের সামনে মহানগরের উন্নয়ন অনুন্নয়ন দেখেছি। মাদকের সঙ্গে জড়িত নন, নারী উত্ত্যক্তকারীদের কঠোর হস্তে দমন করেন, নিজে মাদক নেন না এবং মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থাকেন এমন প্রার্থীকেই তারা এবার ভোট দিবেন।
এদিকে, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের চার মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন অফিস। এরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন, জাকের পার্টির ছাত্রফন্টের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফ আনোয়ার ও ইসলামী আন্দোলনের রাজশাহী মহানগর সহ-সভাপতি মুরশিদ আলম। এছাড়াও ১১৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ৪৬ জনের মনোনয়নও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগেই নানা কৌশলে ভোটাদের কাছে যাচেছন। দিচ্ছেন নানা প্রতুশ্রুতি।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন ভোটার ভোট দেবেন। এরমধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। গত বছর ভোটার সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ২২ হাজার। আগামী ২১ জুন সব ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে। আর রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এবার সম্ভাব্য ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৩টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ