বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
সরকারি কলেজের শিক্ষকরা এখন থেকে বছরের নির্ধারিত সময়ে দুইবার বদলির আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের দুই বছর পার না হলে কেউ ঢাকায় বদলির আবেদন করতে পারবেন না- এমন বিধান রেখে রোববার সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি ও পদায়নের নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে ৩২৭টি সরকারি কলেজে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষক আছেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মাধ্যমে এদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ে চাপ কমাতে ২০১৬ সালের শুরু থেকে প্রতি মাসের প্রথম পাঁচ দিন সরকারি কলেজ শিক্ষকদের বদলির আবেদন অনলাইনে জমা নিচ্ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতেও বদলির তদবিরে মন্ত্রণালয়ে ভিড় লেগেই থাকত।
নীতিমালা অনুযায়ী, এখন প্রভাষকরা প্রথম দফায় ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফায় ১ থেকে ১৫ জুলাই ই-মেইলে বদলির আবেদন করতে পারবেন।
সহকারী অধ্যাপকরা মার্চ ও সেপ্টেম্বরে, সহযোগী অধ্যাপকরা মে ও অক্টোবরে এবং অধ্যাপকরা জুন ও ডিসেম্বরে বদলির আবেদন করতে পারবেন। নির্ধারিত মাসের ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে এই আবেদন জমা দিতে হবে।
“আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করা যাবে। নির্ধারিত সময়ের আগে-পরে অথবা ই-মেইল ছাড়া অন্য কোনোভাবে জমা দেওয়া আবেদনপত্র বিবেচনা করা হবে না।”
নীতিমালা অনুযায়ী, স্বামী ও স্ত্রী উভয়ই চাকরিজীবী হলে স্বামী বা স্ত্রীর নিকটতম কর্মস্থলে বদলি বা পদায়নের জন্য আবেদন করা যাবে।
“যেহেতু এ ধরনের কর্মকর্তার সংখ্যা অনেক, তাই বিষয়টি অধিকার হিসেবে গণ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সুবিধা ও জনগণের সেবাপ্রাপ্তির বিষয় একসঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে,” বলা হয়েছে নীতিমালায়।
অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার এক বছর আগে কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা তার সুবিধামতো স্থানে বদলির জন্য আবেদন করলে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবেদন বিবেচনা করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মাসেই সব বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করবে মন্ত্রণালয়। এজন্য বাছাই কমিটি ও সুপারিশ কমিটি করা হবে। বাছাই কমিটি আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ কমিটির কাছে জমা দেবে। সুপারিশ কমিটির প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন হওয়ার পর বদলি বা পদায়নের আদেশ জারি করা হবে।
উপজেলা পর্যায়ের কলেজগুলোর শূন্য পদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদায়ন করা হবে উল্লেখ করে নীতিমালায় বলা হয়েছে, এসব নিয়মের বাইরেও সরকার ‘জনস্বার্থে’ যে কোনো কর্মকর্তাকে যেকোনো স্থানে বদলি করতে পারবে।– বিডিনিউজ