সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
শাহজাহান গাজী
সোনার দেশ ডেস্ক :
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান গাজীর বিরুদ্ধে অতিদরিদ্র ১২ নারীর ৬৬০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দাবি অনুযায়ী কাকপক্ষী প্রায় সাড়ে ১৬ মণ চাল খেয়ে ফেলেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় এসব চাল বরাদ্দ আসে বলে জানা যায়।
চাল না পেয়ে তালিকাভুক্ত উত্তর কেশবপুর গ্রামের শাহিনুর আক্তার ও একই গ্রামের সীমা বেগম নামের দুই নারী প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আলাদাভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহিনুর আক্তার বলেন, ‘‘আমি ভিডব্লিউবি কর্মসূচির তালিকাভুক্ত। আমার কার্ড নম্বর ২১। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাই। কিন্তু, গত বছরের এপ্রিল ও ডিসেম্বর মাসের ৬০ কেজি চাল পাইনি। চালের জন্য প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছে গেয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, কাকপক্ষী চাল খেয়ে ফেলেছে।’’
সীমা বেগম বলেন, ‘‘গত বছরের এপ্রিল, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর চার মাসের ১২০ কেজি চাল পাইনি। চালের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, চাল কাকপক্ষী খেয়ে ফেলেছে।’’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘চাল না পেলেও প্যানেল চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ লোক শহিদুল মেম্বার জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে ভিডব্লিউবি কার্ডে টিপসই নেন। এ বিষয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছি।’’
কেশবপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডে ২২ জন কার্ডধারী নারী ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল পেয়ে থাকেন। শাহজাহান গাজী প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চাল নিয়ে নয়ছয় শুরু করেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘গত চার মাসে আমার ওয়ার্ডের ১২ নারীর ৬৬০ কেজি চাল আত্মসাত করেছেন শাহজাহান গাজী। ভুক্তভোগীরা চাল চাইতে গেলে চেয়ারম্যান বলেন, কাকপক্ষী চাল খেয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’’
তবে, অভিযোগের বিষয় নাকচ করেছেন কেশবপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান গাজী। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই।’’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি