পুঠিয়ার কাজুপাড়া বিলে রাতের আঁধারে চলেছে পুকুর খনন

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ


পুঠিয়া প্রতিনিধি:রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রতিদিন রাতের আঁধারে চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন। ইতোমধ্যেই কয়েকবার অভিযান চালিয়েও পুকুর খনন বন্ধ করতে পারে নি স্থানীয় প্রশাসন। রাত ৯ টা থেকে ভোর পর্যন্ত ৩ টি ভেকু মেশিন দিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ।

জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কাজুপাড়া এলাকায় কয়েকজন কৃষকের প্রায় ৭০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে পুকুর খনন কাজ চালছে। সেখানে এলাকার কিছু দালাল শ্রেণির লোকজনের সহযোগিতায় ৩টি ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন চলছে। এছাড়া আমঘোষপাড়া, টুলটুলিপাড়া, কানমাড়িয়ায় চলছে পুকুর খনন। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করাই মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, যেখানে-সেখানে পুকুর খনন করায় ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে। সেচকাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে কমছে ফসলের উৎপাদন। তাছাড়া পুকুরের মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলায় গ্রামীণ সড়ক ও খেতের সীমানাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

কাজুপাড়া ফসলি জমিতে পুকুর খননকারী তাহেরপুরের লতিফ জানান, কারো কোনো অনুমতি নাই। সেখানে ২০২২ সাল থেকে পুকুর খনন ও পাড় বাধার কাজ করা হয়েছে। যার কারণে সেখানে কোনো আবাদ হয় না। তাই সেখানকার লোকজন আমাকে বলেন, পুকুর খনন করে আপনিও বাঁচেন আমাদেরও বাঁচান।

শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, আমরা আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ বলেছি। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নাই।
পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী রহমান জানান, গত মাসিক মিটিং এমপি সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন কোথাও পুকুর খনন করা যাবে না। আমরা বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করলেও রহস্যজনকভাবে পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছে না।

শিলামাড়িয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মান্নান জানান, আমি নওগাঁয় সাক্ষী দিতে এসেছি। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে যায়। কিন্তু তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার ফিরে এসে খনন শুরু করে।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে প্রশাসন গিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন সেই পুকুর খনন চলছে কি না আমার জানা নাই।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাশীষ বসাক জানান, আমরা কয়েকবার অভিযান চালিয়েছি। বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া রাতেও সেখানে অভিযান চালিয়েছি কিন্ত সেখানে কাউকে পাই নি।