কাটাখালীতে গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধারসহ চারজন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:কাটাখালী থানাধীন শ্যামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১০০ গ্রাম গাঁজা ও ৯ পিস ইয়াবাসহ ৩ ব্যক্তিকে এবং মাদক মামলার পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কাটাখালীতে গাঁজা ও ইয়াবা সহ গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন রাজু আহমেদ (২০), সজিব আলী (২০) এবং হুসাইন আলী (২১)। রাজশাহী জেলার বাঘা থানার চাঁদপুরের শেখ আব্দুল্লাহর ছেলে রাজু আহম্দে, একই থানার আহম্মদপুরের শফিকুল ইসলামের ছেলে সজিব আলী এবং একই গ্রামের মুনছুরের ছেলে হুসাইন। এছাড়াও মাদক মামলার আসামি মুন্না (২৭) রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার বাখরাবাজ এলাকার মুক্তার হোসেনের ছেলে।

কাটাখালীতে গাঁজা ও ইয়াবা সহ ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে আরএমপি’র মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: একরামুল হক, পিপিএম-এর দিকনির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ’র নেতৃত্বে কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তৌহিদুর রহমান, এসআই শাহিন মোহাম্মদ অনুইসলাম ও তার টিম থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি করছিল। এসময় তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন কতিপয় ব্যক্তি গাঁজা নিয়ে চারঘাট থেকে সিএনজি যোগে কাটাখালী থানার শ্যামপুর’র দিকে আসছে।

কাটাখালীতে গাঁজা উক্ত সংবাদের পরি-প্রেক্ষিতে কাটাখালী থানা পুলিশের টিম কাটাখালী থানার শ্যামপুরে অবস্থান করে। রাত ১১ টায় সন্দেহজনক সিএনজিটিকে আসতে দেখে সংকেত দিয়ে থামিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা ও ৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। অপর একটি অভিযানে এসআই মোসা: সেলিনা খাতুন ও তাঁর টিম শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবগাত রাত সোয়া ১২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মুন্নাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামি মুন্নার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ৬২ গ্রাম হেরোইনসহ তার মা ফুলজানকে গ্রেপ্তার করে কাটাখালী থানা পুলিশ।

কাটাখালীতে গাঁজা ও ইয়াবা সহ ঐ সময় আসামি মুন্না কৌশলে পালিয়ে যায়। আসামি মুন্নার বিরুদ্ধে আরএমপি’র কাটাখালী ও বেলপুকুর থানায় তিনটি মাদক মামলা রয়েছে। মাদকসহ গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কাটাখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে এবং আসামি মুন্নাকে পূর্বের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।