কারফিউ চলাকালে শোক দিবসের কর্মসূচি পালনের অভিযোগ পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

আপডেট: আগস্ট ২, ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি:


কারফিউ চলাকালে শোক দিবসের কর্মসূচি পালনের অভিযোগ উঠেছে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। এ সময় স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাদের।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
এ সংক্রান্ত কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেন মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কাদো বাঙালি কাদো’। বাঙালি জাতির দুঃখ বেদনা ও শোকের মাস এই আগস্ট। আগস্টের প্রথম প্রহরে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শ্রদ্ধা নিবেদন।’

তারপর এসব ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এতে কারফিউ অমান্য করার সমালোচনা উঠেছে। তবে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেই এসব করা হয়েছে বলে দাবি ওই ছাত্রলীগ নেতার।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তের নেতৃত্বে বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী। প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন তারা। পরে আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।

এ সময় শোক দিবসের স্লোগান দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচি পালনের ঘন্টা খানেকের মধ্যেই নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে এ সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত সহ নেতাকর্মীরা। তবে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ একটি মামলায় কারাগারে থাকায় তাকে দেখা যায়নি এ কর্মসূচীতে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত বলেন, ‘প্রতিবছরই তো আগস্টের প্রথম প্রহরে কর্মসূচি পালন করা হয়। এবারও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছি। পুলিশকে মৌখিকভাবে অবহিত করেই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কোনো হট্টগোল করা হয়নি।’ এদিকে, পাবনা জেলা প্রশাসনের জারীকৃত কারফিউ আদেশ থেকে জানা যায় পাবনায় বুধবার রাত ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি ছিলো।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘এরকম কোনো বিষয় আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আসলে এমন বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি আগে খোঁজ নিয়ে জেনে দেখি তারা কতটুকু কি করেছে।’ প্রসঙ্গত, কারফিউ আইন লঙ্ঘন করলে এক বছরের কারাদ- বা জরিমানার বিধান রয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version