কারারক্ষী ও বিজিবি সদস্যদের ধাক্কাধাক্কি || অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর নয়

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৭, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পদ্মাপাড়ে জমির দখল নিয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী ও বিজিবি সদস্যদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এটি দ্বিতীয়বারের মত ঘটনা। এর আগে গত বছরের ৭ আগস্ট এই জমি নিয়ে কারারক্ষীদের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা অনাকাক্সিক্ষতÑ যা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।  সরকারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়াটা নগরবাসীর জন্যও বেশ উদ্বেগের।
বুধবার দৈনিক সোনার দেশে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিদেনের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের দক্ষিণে নগরীর শ্রীরামপুরে পদ্মাপাড়ের জায়গার দখল নিয়ে ওই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তথ্য মতে, নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও  কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের জমিতে পদ্মা নদীর পাড়ে বিজিবির উদ্যোগে বেশ কিছুদিন ধরেই ফাস্টফুডের ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। কিন্তু জমিটি কারাগারের বলে দাবি করছেন কারা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তারা আদালতের রায়ও পান।
আদালতের রায় পাওয়ার পর মঙ্গলবার কারা কর্তৃপক্ষ এই জায়গা নিজেদের দখলে নিতে  গেলে বিজিবির সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটা-কাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কারা এবং বিজিবি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে সেখানেই বিজিবি ও কারা কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি কর্তৃপক্ষের মতে ২০১৪ সাল থেকে ওই জায়গাটি তাদের দখলে আছে। সেখানে ৪০ লাখ টাকা খরচ করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এতোদিন কারা কর্তৃপক্ষ এসে তাদের জমির দাবি করেনি। কিন্তু এখন হঠাৎ করে এসেই জমির কিছু অংশের মালিকানা দাবি করে ওই ভবন ব্যবহার করতে মানা করছে।
বিবদমান পক্ষ বৈঠকে বসেও বিষয়টির কোনো সুরাহা করতে পারেনি। বিরোধ মিমাংসার বিষয়টি এখন উচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে। উভয় সংস্থা তাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে। শেষ অবধি মন্ত্রণালয়ের দায় পড়েছে বিষয়টির সুরাহা করার।
গত বছর ৭ আগস্ট প্রথমবারের মত যখন ঘটনা ঘটে তখনই বিরাধ মিমাসার উদ্যোগটে উচ্চ পর্যায় থেকে নিলে দ্বিতীয়বারের ঘটনাটি ঘটতো না। ছয় মাস পর আবারো উত্তেজনার সৃষ্টি হল যা অনভিপ্রেত। আমরা আশা করবো ঘটনার আর যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে লক্ষেই উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে সে ভাবেই বিবেচনা করবেন এবং বিরোধের নিষ্পত্তি করবেন।