কিডনি চুরির অভিযোগে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসককে আটকের পর ছাড়

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ

নাটোর অফিস



নাটোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগির কাছ থেকে কিডনি চুরির অভিযোগে এক চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযানের আগেই হাসপাতালের মালিকরা পালিয়ে গেছে।
নাটোর থানার এসআই মাসুদ রানা জানান, সিংড়া উপজেলার ছোট চৌগ্রামের আসমা বেগম প্রায় দুইবছর আগে নাটোর শহরের জনসেবা হাসপাতালে ডান কিডনির পাথরের অপারেশন করান। অপারেশনের ৮ মাস পর ব্যথা অনুভব হলে অন্য হাসপাতালে পরীক্ষা করান আসমা। ওই সময় ডাক্তাররা জানান, তার ডানপাশের কিডনি নেই। বিষয়টি জনসেবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা কিডনি রয়েছে বলে যে চিকিৎসাপত্র দেয় তাতে আসমা বেগম সুস্থ হয়ে যান। সম্প্রতি তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গত বুধবার আরেকটি হাসপাতালে পরীক্ষা করা হলে সেখানে পরীক্ষার পর আবার জানা যায় তার কিডনি নেই। বিষয়টি নিয়ে গতকাল শুক্রবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আবার জানালে তারা কিডনি না থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
শুক্রবার দুপুরেই আসমা বেগমের ছেলে রবিউল ইসলাম নাটোর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বিকেলে ওই হাসাপাতালে অভিযান চালিয়ে সেখানকার চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল হান্নানকে আটক করে। তবে পুলিশি অভিযানের আগেই পালিয়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে আটক ডাক্তারের দাবি কিডনি চুরি হয়নি। কিডনি ছোট হয়েছে।
নাটোর থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়। পরে নাটোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসককে আবুল কালাম আজাদের জিম্মায় তিনদিনের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এই তিন দিন রোগীর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার পর যদি প্রমাণিত হয় যে কিডনি নেই, তবে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার উপস্থিতিতে ডাক্তার হান্নানকে রাত সাড়ে ৯টার সময় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।