শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
২০২৪ এর সূচনাতেই মহাকাশ গবেষণায় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত। ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট সফলভাবে পাড়ি দিয়েছে মহাকাশে। মহাশূন্যের অসীম রহস্যেভরা কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের সন্ধান করবে এই XPoSat. সোমবার (১ জানয়ারি) সকাল ৯:১০ মিনিটে কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
এর আগের কয়েক মুহূর্ত একেবারে দমবন্ধ করে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে অপেক্ষার প্রহর গুণছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে এক্সপোস্যাটের সফল উৎক্ষেপণে তার অবসান হয়। বছর শুরুতেই খুশির হাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। উল্লেখ্য, এ ধরনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিল। এর আগে একমাত্র আমেরিকার দখলে ছিল এই সাফল্য।
গুরুত্বপূর্ণ মিশনের জন্য নতুন বছরের শুরুর দিনটাই বেছেছিলেন ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। জানা যাচ্ছে, মূলত দুটি অংশের মাধ্যমে মহাকাশে কাজ করবে এক্সপোস্যাট। একটি পোলিক্স বাPolarimeter Instrument in X-Ray,অপরটি এক্সস্পেক্ট (X-ray Spectroscopy)| ।
পৃথিবী থেকে খুব বেশি দূরে যাবে না এই কৃত্রিম উপগ্রহটি। মাটি থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে। সেখানেই কৃষ্ণগহ্বর এবং উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের খোঁজ করবে এই স্যাটেলাইট। পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠাবে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে। আর তা বিশ্লেষণ করেই জানা যাবে আমাদের সৌরজগতের কৃষ্ণগহ্বর এবং অন্যান্য শক্তির উৎস সম্পর্কে। এমনই খবর দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে সূত্রে।
এক্সপোস্যাট পাঁচ বছর কাজ করতে পারবে মহাশূন্যে। সেভাবেই তাকে তৈরি করা হয়েছে। মূলত এক্স রে পোলারিমিটারের সাহায্যে পৃথিবীর আশেপাশে থাকা অন্যান্য আলোর উৎস খুঁজবে এক্সপোস্যাট। এর পোলিক্স অংশে উচ্চমাত্রার এক্স রশ্মি নির্গত হবে। আর পরবর্তী অংশ মূলত নির্গত এক্স রশ্মির মাত্রাবদলের দিকে নজর রেখে পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য পাঠাবে।
তা বিশ্লেষণ করলেই কৃষ্ণগহ্বর বা অন্যান্য জ্যোতিষ্কের আলোক শক্তি সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সেদিক থেকে ইসরোর এই এক্সপোস্যাট মিশন বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় অনেকটাই অগ্রণী ভূমিকা নেবে নিঃসন্দেহে।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন