কেশরহাট অফিসে তালা ঝুলছে || মোহনপুর সেটেলমেন্ট অফিসটি অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য

আপডেট: মার্চ ২৯, ২০১৭, ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ

মোহনপুর প্রতিনিধি


ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি রেকর্ডের নামে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রতির মধ্যে দিয়ে চলছে মোহনপুর সেটেলমেন্ট অফিসের কার্যক্রম। প্রতিদিন সেবা নিতে আসা হাজার হাজার সাধারণ জনগণ হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। জমি হারানোর ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। অপদিকে কেশরহাট পৌরসভায় সেটেলমেন্ট অফিসটি আজও তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অফিস খুলতে গেলে বিক্ষিপ্ত জনতারা তাদের উপর চওড়া হয়ে বাধা প্রদান করেন।
সরেজমিনে মোহনপুর সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে সেবা নিতে আসা মাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অফিসের কর্মরত অফিসার থেকে শুরু করে পিয়নরা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। ভূমি রেকর্ড বিষয়ে সেবা নিতে আসলে তারা বলেন টাকা দিলে জমি সঠিকভাবে রেকর্ড হবে না দিলে রেকর্ড হবে না। ভূমি রেকর্ড কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কাছে অর্থ লেন-দেনের বিষয়টি এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের এ লাগামহীন দৌরাতœ পোনায় অতিষ্ঠ সেবা নিতে আসার এলাকার লোকজন। গত সোমবার রেকর্ড সংক্রান্ত অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে কেশরহাট সেটেলমেন্ট অফিসে বিক্ষিপ্ত জনতা তালা ঝুলিয়ে দেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিটি আপিল কেসের খরচ মাত্র ১শ’ টাকা। অফিস নিচ্ছেন ৪০০/৫০০ টাকা। বদর ফ্রি-১০ টাকা। তারা নিচ্ছেন ২০০/৩০০ টাকা। সোনানীতে ১ হাজার থেকে শুরু করে সালামি (ঘুষ) নিচ্ছেন ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এভাবে  সাধারণ জনগণের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন নির্বচারে। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি, সেচাছাচারিতা ও স্বজনপ্রতির ভরে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকায় সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হলেও দেখার কেউ নেই।
তাদের লাগামহীন দৌরাতœ পোনায় অভিযোগে ২৭ মার্চ (সোমবার) অফিস চলা অবস্থায় বিক্ষিপ্ত কয়েকশত সাধারণ জনগন ভূমি রেকর্ডের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়ে অফিসের লোকজনকে টেনে-হেচড়ে বের করে কেশরহাট সেটেলমেন্ট অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মোহনপুর সেটেলমেন্ট অফিসার আনোয়ার হোসেনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে অফিসে কেন তালা ঝুললো প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তোর দিতে পারেননি। তিনি মোহনপুর অফিসের দুর্নীতি,স্বজনপ্রতি বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে কৌশলে এড়িয়ে যান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ