কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে সংস্কার কাজে অপপ্রচার তদারকিতে আসলেন প্রকৌশলী

আপডেট: জুলাই ৭, ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ণ

মোহনপুর প্রতিনিধি:


মোহনপুরে কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয় আলোচিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিদ্যালয়ে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। তবে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার সংস্কার কাজের অনুমোদন হয়। ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের ওইসকল কাজগুলো বাস্তবায়ন করছে মেসার্স আলখেল্লা নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজেও অনিয়ম হচ্ছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়া প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ফৌজদারী মামলায় সাময়িক বরখাস্তপ্রাপ্ত হন। এরপর প্রধান শিক্ষক শফিকুল সাময়িক বরখাস্তের পর সহকারি প্রধান শিক্ষক সহিদুজ্জামান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
শনিবার সকালে আকষ্মিক এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ এমপি। তিনি সংস্কার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরদিন রোববার (৭ জুলাই) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় খবর প্রকাশের পরে রোববার সকালে বিদ্যালয়ে আসেন ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের মোহনপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটিসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে কাজগুলো তদারকি করেন তিনি। এসময় উপস্থিত জনসাধারণের নানান প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী বলেন, সংস্কার কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি এবং চলমান রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহিদুজ্জামান কাজ শেষের ফাইনাল কাগজে স্বাক্ষর করেননি এমনকি ঠিকাদার তার বিল উত্তোলনও করতে পারেননি।

সিডিউলের আওয়াতার কোনো কাজ বাকি রেখে বিল পাস হবে না। ফাইনাল রঙয়ের কাজ এখনো শেষ হয়নি। বৃষ্টির জন্য রংয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে। রোদ খরা হলেই কাজ শুরু করা হবে। তবে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের প্রকৌশলী আরো বলেন স্থানীয় কোন্দলের রেস ধরে এ উদ্ভট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বা সভাপতি একাজে কোনো টাকা পয়সা দাবী করেন নি বরং তারা জানিয়েছেন এটি ঝন্ঝাটে জায়গা কাজটা যেন ভাল হয়। আশাকরি টেন্ডার অনুযায়ী সঠিক ভাবে কাজটি সম্পন্ন হবে।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহিদুজ্জামান বলেন, এমপি মহোদয় বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। কাজ দেখে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কাজ সঠিক ভাবে হয়নি তাই ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ দিয়েছি। কাজটি সুষ্ঠভাবে সম্পন্নের মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জমসেদ আলী জানান, এমপি মহোদয় আকষ্মিক ভাবে বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে সংস্কার কাজ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ কাজ সরকারী ভাবে হচ্ছে এসব সম্পর্কে আমাদের করনীয় ছিলনা। ফ্যাসিলিটিজ ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসব বিষয়ে জানে। তবে একাজের টাকা উত্তোলন হয়নি বলে জেনেছি। বাকি কাজ সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হোক এটা আমার প্রত্যাশা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ