রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় জেলা পরিষদের ১১টি দোকানঘর বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সিডিউল বিক্রির শেষ দিন হলেও দোকান বরাদ্দ পেতে আগ্রহী কাউকেই সিডিউল দেয় নি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে, অল্প মূল্যে নিজেদের লোকজনকে ওইসব দোকানঘর ভাগবাটোয়ারা করে দেয়ার জন্য বাইরের কাইকেই সিডিউল দেয়া হয় নি। আর এই পক্রিয়ায় দোকান বরাদ্দ দেয়া হলে জেলা পরিষদের প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাচোল উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আধুনিক মার্কেটের সম্প্রসারিত অংশের নির্মিতব্য ১১টি দোকানঘর বরাদ্দের জন্য গত ১৭ জুলাই দরপত্র আহবান করেন জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ শাফায়েত জামিল। সেই মোতাবেক বুধবার ছিলো দরপত্রের সিডিউল বিক্রয়ের শেষ দিন। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দোকান বরাদ্দ পেতে আগ্রহীরা সিডিউল ক্রয়ের জন্য জেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে কাউকেই সিডিউল দেয়া হয় নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পরিষদে গিয়ে দেখা যায় অন্তত ১০/১২ জন ব্যক্তি সিডিউল কেনার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তাদের কাউকেই সিডিউল দেয়া হয় নি।
সিডিউল কিনতে আসা জেলা শহরের হুজরাপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত দুই দিন ধরে পাঁচ বার চেষ্টা করেও তিনি সিডিউল কিনতে পারেন নি। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের কোন কর্মকর্তা তার সঙ্গে কথা বলছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার আশঙ্কা ১১টি দোকারঘর অল্প মূল্যে নিজেদের লোকজনের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দেয়ার জন্যই বাইরের কাইকে সিডিউল দেয়া হচ্ছে না। এই প্রক্রিয়ায় দোকান বরাদ্দ দেয়া হলে জেলা পরিষদ প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
একই অভিযোগ করেন জেলা শহরের স্বরুপনগর এলাকার সাজেদুর রহমান ও মসজিদপাড়া এলাকার তারেকুর রহমান নামের অপর দুই ব্যক্তি। তারা জানান, মঙ্গল ও বুধবার একাধিকবার চেষ্টা করেও তারা সিডিউল কিনতে পারেন নি। তারা জানান, সবাইকে দরপত্রে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হলে প্রতিটি দোকান নূন্যতম ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হতো।
বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ শাফায়েত জামিলের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দীন মন্ডলের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এমনকি কয়টি সিডিউল বিক্রি হয়েছে- এ ব্যাপারেও তিনি কিছু বলতে চান নি।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দীন মন্ডলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সব সিডিউল আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় নতুন করে কাউকে সিডিউল দেয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য তিনি সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন।