রাবি ভর্তি পরীক্ষায় পরিচ্ছন্নতা ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন

রাবি প্রতিবেদক:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণিতে প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় পরিচ্ছন্নতা ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষায় দিনব্যাপী এ সেবা দিয়েছে সংগঠনটি।

এদিন ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্পাসের যত্রতত্র ফেলা ময়লা-আবর্জনাগুলো পরিষ্কার করছেন। ভর্তিচ্ছু ও অবিভাবকদের ফেলা টিস্যূ, খাবার প্যাকেট থেকে শুরু করে প্লাস্টিক বোতল পর্যন্ত পরিষ্কার করছেন স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা। ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেট, টুকিটাকি চত্বর, একাডেমিক ভবনগুলোর আশপাশ এবং প্রধান সড়কগুলোতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছেন তারা। তাছাড়া ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা ও এম্বুলেন্স এবং আবাসন সেবা দিচ্ছে সংগঠনটি।

সংগঠনের এমন কর্মকাণ্ডের বেশ প্রশংসা করেছেন অবিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। স্বেচ্ছাসেবীদের এমন কার্যক্রম সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ভাল কাজের অনুপ্রেরণা বলছেন তারা।
রেজাউল করিম নামের এক অবিভাবক বলেন, সংগঠনটির এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এটা তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি সকলকে দায়িত্বপালনে সচেতন করবে। ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম দেখে অনেকে অনেকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে ডাস্টবিনে গিয়ে ফেলছে।

স্বেচ্ছাসেবী হায়দার আলী বলেন, সংগঠনের মূলনীতি সৃষ্টির সেবায় কোয়ান্টাম। গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই আমরা দলবেঁধে কাজ করছি। যাতে অন্যরা অনুপ্রেরণা পায়। তাছাড়া ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায় হোক অনেকে যত্রতত্র ময়লা ফেলায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। ফলে সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রাখতে আমাদের এ কার্যক্রম।

ফাউন্ডেশনের রাজশাহী ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর মাহমুদুল হাসান বলেন, গণসচেতনতা সৃষ্টিই এ ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য। আমাদের সংগঠনে সর্বপেশার মানুষ কাজ করে। গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ও টেকসই উন্নত সমাজ গড়তে আমরা কাজ করছি।