বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
খুব বেশি পেছনে তাকানোর দরকার নেই। মাত্র দুবছর। বিরাট কোহলির জন্য সেবারের ইংল্যান্ড সফরটা ছিল দুঃস্বপ্নের অপর নাম। জেমস অ্যান্ডারসনে পর্যুদস্ত হওয়ার সেই সিরিজে বড্ড বেমানান ব্যাটিং গড় ( ১৩.৪০) ছিল কোহলির। এবার একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ঠিক তার উল্টোটা দেখছেন ভারতীয়দের টেস্ট অধিনায়ক। সিরিজের প্রথম চার ম্যাচেই করে ফেলেছেন ৬৪০ রান। নিজের আমূল বদলে যাওয়া এই ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি অবশ্য কীর্তিত্ব দিচ্ছেন স্বদেশি কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ৯ টেস্টে মাত্র ২০.১২ গড় ছিল কোহলির। চলতি সিরিজে চার টেস্টে গড়টা ১২৮-এ। মুম্বাই টেস্টে ইনিংস ও ৩৬ রানে জয়ের ম্যাচে সাজিয়েছিলেন চোখ ধাঁধানো ২৩৫ রানের পসরা। যেটি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও এনে দিয়েছে, সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়ও।
ইংল্যান্ডের স্পিন-রিভার্স সুইং সামলে ব্যাটে ঝড় তোলার পর সেই দুঃস্বপ্নের কিছুটা হয়তো মুছে গেছে কোহলির। ২৮ বর্ষী তারকা তাতে ভুলে বসেননি বিপদে তার বিশ্বাস ফিরিয়ে এনে দেওয়া শচীনের কথা। ইংলিশদের বিপক্ষে আগের ব্যর্থতার পর যে তাকে পথ দেখিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন কোহলি, ‘আমাকে নিয়ে যা কিছু লেখা হয় বা বলা হয় সেসবের দিকে না তাকানোর পরামর্শটাই ছিল সেরা। আমি রসিকতা করছি না। ওটাই আমার পাওয়া সেরা উপদেশ।’
পরে শচীনের সেই দর্শনটিই তাকে আমূল বদলে দেয় বলে জানিয়েছেন কোহলি। যেটা তাকে সত্যিকার অর্থেই একজন টেস্ট ক্রিকেটারে পরিণত করতে সাহায্য করেছে বলেও মনে করছেন আধুনিক ক্রিকেটে রোমাঞ্চ ছড়ানো এই তারকা।
কোহলি বলেছেন, ‘তখন ধোনি দায়িত্বে ছিল। এখন আমি নিজেই দায়িত্বে। সত্যিকার অর্থেই আমার সেসব লেখা পড়ার বা দেখার সময় নেই যেগুলো আমাকে বা আমাদের নিয়ে বলা হচ্ছে। আমি শুধু শিখেছি, মাঠে যাও আর নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে চেষ্টা করো। আমি সেভাবেই এগোচ্ছি।’