মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
কন্ডিশনের জন্য প্রভাব পড়তে পারে ব্যাটিং-বোলিংয়ে তাই বলে ফিল্ডিং কেন খারাপ হবে? উত্তরটা খুঁজছেন সাকিব আল হাসানও। সহজ এক ক্যাচ ছাড়ার আক্ষেপ কাটছেই না বাংলাদেশের সহঅধিনায়কের।
আফগানিস্তান আর ইংল্যান্ড সিরিজেও বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে বাজে ফিল্ডিং। দুই সিরিজেই অসংখ্যবার ফিল্ডিং নিয়ে কথা বলতে হয়েছে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।
নিউজিল্যান্ডেও পরিস্থিতি পাল্টায় নি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সেরা থেকে অনেক দূরে ছিলেন চন্দিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। হাত থেকে ক্যাচ ছুটেছে, হাত ফস্কে হয়েছে বাড়তি রান। ক্ষিপ্রতার অভাবেও কাজে লাগানো যায়নি সুযোগ, কখনও কখনও বাড়তি রান পেয়েছে স্বাগতিকরা। নির্ভরযোগ্য ফিল্ডারা এবার হতাশ করেছে বাংলাদেশকে।
রোববার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির বলে দুইবার কেন উইলিয়ামনকে জীবন দেন সাকিব ও তামিম ইকবাল। কোরি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে অধিনায়কের যে জুটি ভাঙতে পারতো পঞ্চাশ পেরুতেই সেটায় উঠে ১২৪ রান। ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে এমনকি খেলার মধ্যেও থাকা লাগে না। একটু সচেতন থাকলে ক্রিকেটে এখানে মরচে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর এখানটায় ব্যর্থ হওয়ায় কোনো অজুহাত দিচ্ছেন না সাকিব। “(বাতাসের কারণে ধরতে পারিনি কি না?) আমরা তো এখানে আছি প্রায় এক মাস। বাতাসের তো অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। তামিমেরটা তাও একটু কঠিন ছিল। আমারটা তো অনেক সহজ ক্যাচ ছিল।” সামনে টেস্ট সিরিজ। এখনও নিজেদের প্রমাণের সুযোগ রয়ে গেছে বাংলাদেশের। যত দ্রুত সম্ভব ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সেরা মানে ফিরতে সতীর্থদের তাগিদ দিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। “চেষ্টা থাকবে যারা ভুল করেছি তারা যেন ভালো করতে পারি। ফিল্ডিং এমন একটি ব্যাপার যা পুরো দলের চেহারা ফুটিয়ে তুলতে পারে। ওদের আর আমাদের ফিল্ডিং দেখলেই বুঝতে পারবেন এই সিরিজে এখানটায় কতটা পার্থক্য ছিল।”-বিডিনিউজ