ক্যান্সারের কারণে ৮০ ভাগ নারীর তালাক হয়ে যায়: বিভাগীয় কমিশনার

আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ৬:৫০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


রাজশাহী বিভাগীয় ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, এই রোগের লক্ষণ প্রথমে ধরা যায় না। যখন বুঝতে পারা যায় তখন এই গোপন রোগের কথা কাউকে লজ্জায় বলা যায় না। যারা শেষ ভাগে স্বামীদের এ রোগের কথা বলেছেন, তাদের শতকরা ৮০ ভাগ নারীই তালাকপ্রাপ্ত হয়ে যায়।

রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা দেওয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। এছাড়াও তিনি টিকা দেওয়ার উদ্বোধনও করেন। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে বিভাগীয় পর্যায়ে উদ্বোধন করা হয়। এই টিকা দেওয়া চলবে আগামী নভেম্বরের ২৪ তারিখ পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীরের সভাপতিত্বে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মেয়েদের তিন ধরণের ক্যান্সার বেশি হয়। জরায়ুমুখ ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার। অন্য ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কার করা না গেলেও জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কার করা হয়েছে। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশে অনেক মেয়ে মারা যায়। সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশে এ রোগে মৃত্যুর হার চতুর্থ। এটির প্রধান কারণ হচ্ছে বাল্যবিবাহ। অল্পবয়সে বিবাহিত নারীদের এ ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোভিডের আগে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ ছিল শতকরা ৩১ ভাগ। কোভিডের পরে সেটা দাঁড়িয়েছে শতকরা ৪১ ভাগ। রাজশাহী বিভাগে ছাড়িয়েছে ৫০ শতাংশ।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মেয়েরা সিরিঞ্জ দেখলে বেশি ভয় পায়। এই টিকা নিতে কোনো ভয় নেই। এই টিকা বেলজিয়াম থেকে আমদানি করা হয়েছে। এটি বিশ^ব্যাপী পরীক্ষিত ও নিরাপদ। সহপাঠিদেরকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যাতে টিকা নিতে কেউ বাদ না পড়ে। এই টিকা অনেক মূল্যবান। এখন যদি টিকা নেওয়া থেকে কেউ বাদ পড়, তাহলে পরবর্তীতে এই টিকা নিতে হবে তিনটি ডোজের মাধ্যমে যার মূল্য প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা।

এর আগে মহানগর পর্যায়ে নগরীর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ